,

হবিগঞ্জ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে হবিগঞ্জ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি (ব্যকস)-এর দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দিনগত রাত ১টার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার তকাম্মুল হোসেন কামাল আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। তুমুল লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে ৪৬৪ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সৈয়দ তোফায়েল ইসলাম কামাল। ৩৬ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত তার প্রতিদ্বন্ধি মঈন উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাম্মু। তিনি পেয়েছেন ৪২৮ ভোট। ৫১২ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন শামছুল হুদা। তার প্রতিদ্বন্ধি ইকরাম চৌধুরী পেয়েছেন ৩৬১ ভোট। সহ-সভাপতি প্রার্থী ৬ জনের মধ্যে ৩জন নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিত সহ-সভাপতিরা হলেন, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সুমন ৬১৪, মোঃ নাছির উদ্দিন ৫৩২, হোসাইন আহমদ রানা ৫১৫ ভোট। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ আলমগীর ৫২৮ ও আনোয়ারুল ইসলাম আনু ৪৭০ ভোট। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ১২০ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন চৌধুরী তুহিনুজ্জামান। তার প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৫০৭। তার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী নাজমুল হাসান সিদ্দিকী পেয়েছেন ৩৮৭ ভোট। কোষাধ্যক্ষ পদে ৪৪৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মীর এ.কে.এম জমিলুন্নবী ফয়সল। তার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী আব্দুল হক পেয়েছেন ৩৫৯ ভোট। দপ্তর সম্পাদক পদে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট পেয়ে নির্বাচত হয়েছেন মোঃ মাহবুবুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ৭০৬ ভোট। তার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী মকলুছ মিয়া পেয়েছেন ১০৮ ভোট। প্রচার সম্পাদ পদে জালাল উদ্দিন সজলু ৪৪৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী জহিরুল ইসলাম রুয়েল পেয়েছেন ৩৭৮ ভোট। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ৪৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচত হয়েছেন সৈয়দ জুয়েব হোসন খোকন। তার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী রাজা স্বরণ ভট্টাচার্য পেয়েছেন ৩১৭ ভোট। সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে ৫৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ মামুন মিয়া। তার প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী রাজন রায় পেয়েছন ২৪২ ভোট। কার্যকরী কমিটির সদস্য পদে ১৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ১১জন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। রাজনৈকি মামলায় কারাগারে থেকে ৬৭৩ ভোট পেয়ে সদস্য পদে প্রথম হয়েছেন মোঃ হাফিজুল ইসলাম। ৬৩৮ ভোট পেয়ে সদস্য পদে দ্বিতীয় হয়েছেন এনামুল হোসেন চৌধুরী, ৫৫৯ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন মোঃ জাহিদ, ৫৮৬ ভোট পেয়ে ৪র্থ হয়েছেন আহমেদ জামান খান শুভ, ৫৫২ ভোট পেয়ে ৫ম হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী আব্দুর রহমান তালুকদার, ৫২৫ ভোট পেয়ে ৬ষ্ঠ হয়েছেন মোঃ জসিম মাহমুদ, ৫১৫ ভোট পেয়ে ৭ম হয়েছেন মোঃ মখলিছ মিয়া, ৪৯১ ভোট পেয়ে ৮ম হয়েছেন মোঃ রকিব উদ্দিন রিপন, ৪৭৭ ভোট পেয়ে ৯ম হয়েছেন মুখলিছুর রহমান ফয়সল, ৪৬৬ ভোট পেয়ে ১০ম হয়েছেন মোঃ মাহাফুজ চৌধুরী ও ৪৬৩ ভোট পেয়ে ১১তম হয়েছেন এ.কে.এম মেহেদী হাসান সুমন। নির্বাচনে মোট ১০৮৬ জন ভোটারের মধ্যে ৯৪৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। মোট ২৩টি ব্যালট পেপার বাতিল হয়েছে। নির্বাচনে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট একরাম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে প্রশাসনের একটি টিম পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এস.আই শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে সদর থানার একদল পুলিশ নির্বাচনের আইন শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করেন। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের ফলাফলের জন্য মধ্যরাত পর্যন্ত প্রার্থীদের সমর্থকরা টাউনহল এরিয়ায় অপেক্ষা করতে থাকেন। এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে সারাদিন ছিল উৎসব মুখর পরিবেশ। টাউলহল এলাকার আশাপাশসহ সর্বত্র ছিল নির্বাচনকে ঘিরে আলোচনা।


     এই বিভাগের আরো খবর