,

বাংলাদেশে বায়ুদূষণের ফলে বছরে দুই লাখ মানুষের মৃত্যু

সময় ডেস্ক ॥ বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর দেশে প্রায় দুই লাখ মানুষ মারা যাচ্ছেন। মানুষের মৃত্যুর ১০টি কারণের মধ্যে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে বায়ুদূষণ। ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে ঢাকার বায়ু নতুন করে দূষিত হওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গত ৩০ বছরে পানি ও পয়ঃনিস্কাশনজনিত মৃত্যুহার কমলেও বায়ুদূষণে মৃত্যুহার বেড়েছে। শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর মিলনায়তনে ‘বায়ুদূষণ ও করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব তথ্য তুলে ধরেন। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেঞ্জ বাংলাদেশ, বারসিক, নাগরিক উদ্যোগ, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, সিডিপি, গ্রিনভয়েস, চাঁদের কণা, ইকো সোসাইটি, পরিবেশ রক্ষা এখনই, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্ট, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব মেরিন সায়েন্স (সিইউ) ও মুক্তি ফাউন্ডেশন এ সেমিনারের আয়োজন করে। বাপার সহসভাপতি লেখক-গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদের সভাপতিত্বে এবং বাপার যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাসের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটর অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার। প্রধান অতিথি ছিলেন বাপার সহসভাপতি অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. একেএম রফিক আহাম্মদ, বাপার সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল মতিন, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী আমিনুর রসুল বাবুল প্রমুখ। বায়ুদূষণে বছরে দেশে এক লাখ ৯৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে উল্লেখ করে অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, বায়ুদূষণের ফলে মানব স্বাস্থ্যের অবনতি এবং বৃক্ষের বৃদ্ধি ও ফলন ব্যাহত হচ্ছে। ইটভাটাগুলোকে বায়ুদূষণের প্রধান কারণ হিসেবে দায়ী করেন তিনি। সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। বায়ুদূষণের ফলে এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছে, মানুষের বেঁচে থাকা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় আগামী ৫০ বছর পর ঢাকা শহরে মানুষ বাঁচবে কি-না, সে ব্যাপারে সন্দেহ আছে। ড. একেএম রফিক আহাম্মদ বলেন, ইটভাটার জন্য উন্নত ও পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি চালু করা হয়েছে, যদিও তা প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য। নন-ফায়ার ব্রিপ বা ব্লক ইট তৈরিতে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। তিনি বলেন, পরিবেশ দূষণের কারণগুলো চিহ্নিত এবং আইনগুলো হালনাগাদ করা হয়েছে। ডা. আব্দুল মতিন বলেন, পরিবেশ মন্ত্রণালয়কে আরও শক্তিশালী করা দরকার। দেশ এক ভয়ঙ্কর দূষণের শিকার। উন্নয়নের নামে দেশের পরিবেশকে ধ্বংস করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এমন না যে আমরা উন্নয়ন চাই না। তবে পরিবেশ ধ্বংস করে নয়। সেমিনারে অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার সম্পাদিত ‘সমসাময়িক পরিবেশ ভাবনা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর