,

হবিগঞ্জে সফল খামারি কলেজ ছাত্র

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ মাত্র দুই বছর আগে শখের বসে ১০টি কোয়েল পাখি কিনে আনেন কলেজ ছাত্র শরীফ উদ্দিন। দুই মাস পালন করার পর পাখিগুলো ডিম দিতে শুরু করে। ভালো সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়ায় আরও ৫শ’ কোয়েল পাখি কিনে খামার শুরু করেন তিনি। এখান থেকে শুরু হয় তার স্বপ্নের পথচলা। মাত্র ৬ মাসের মাথায় ভালো সফলতা পেয়ে এখন তিনি পাঁকাপোক্ত খামারিতে পরিণত হয়েছেন। বাড়িয়েছে খামারের সংখ্যা। সঙ্গে যুক্ত করেছেন পোল্টি মোরগের খামারও। বর্তমানে তিনি লেখাপড়ার ফাঁকে ফাঁকে খামার দেখাশুনা করেন। তার এখানে কর্মসংস্থান হয়েছে আরও দুইজন বেকারের। হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল নাজিরপুর গ্রামের সোনহর আলীর ছেলে কলেজছাত্র শরীফ উদ্দিন। হবিগঞ্জ জেকেএইচ স্কুল এন্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র শরীফ উদ্দিন। বর্তমানে শরীফ উদ্দিন তার বড় ভাই গ্রীন ইউনিভারসিটির ইলেক্ট্রিকাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রাইছুলের সহযোগিতা নিয়ে গড়ে তুলেছেন ‘এসএ এগ্রো ফার্ম’ নামে একটি খামার। যেখানে রয়েছে দুটি পোল্টিসহ তিনটি খামার। শরীফ উদ্দিন জানান, দুই বছর আগে শখের বসে ১০টি বাচ্চা কিনে আনেন তিনি। দুই মাস পর তিনি ৫শ’ বাচ্চা দিয়ে ছোট পরিষরে বাণিজ্যিক খামার শুরু করেন। সেখান থেকে ভালো সফলতা আসায় তিনি খামারের সংখ্যা বৃদ্ধি করেন। বর্তমানে পোল্টি চাড়াও তার খামারে ১২ হাজার কোয়েল পাখি রয়েছে। যার থেকে তিনি দৈনিক ৩ হাজার ডিম পাচ্ছেন। যা বিক্রি হয় প্রতিদিন ৬ হাজার টাকা। এছাড়া ডিম ও পাখি মিলিয়ে তিনি প্রতিমাসে গড়ে এক লাখের উপরে লাভ হচ্ছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘প্রথমে যখন কোয়েল পাখির বাচ্চা কিনে আনি তখন অনেকেই বলেছে বাচ্চাগুলো বাঁচবে না, মারা যাবে। তাদের কথা শুনে অনেক কষ্ট হয়েছিল তখন। কিন্তু ধিরে ধিরে বাচ্চা যখন বড় হয় তখন আমার স্বপ্নও বড় হতে থাকে।’ শরিফ বলেন- ‘প্রতিদিন গড়ে  ৩ হাজার ডিম  দেয়। ডিমগুলো স্থানীয় বাজারে ২ টাকা পিস বিক্রি করি। সেই হিসাবে আমার প্রতিদিন আয় ১২শ’ টাকা। শুধু স্থানীয় বাজারেই নয়, বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা আমার খামার থেকে ডিম কিনতে আসেন। আবার অনেকে খামার দেখতেও আসেন।’ তিনি দাবি করেন, সরকারি পৃষ্টপোষকতা আর প্রশিক্ষণ ফেলে তিনি আরও লাভবান হতেন। পাশাপাশি কর্মসংস্থান হতো আরও কয়েকজন যুবকের।


     এই বিভাগের আরো খবর