,

নিখোঁজের ৪দিন পর শায়েস্তাগঞ্জের ব্যবসায়ীর লাশ ঢাকা থেকে উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ শায়েস্তাগঞ্জের নিখোঁজ হওয়া ব্যবসায়ী গোপাল চন্দ্র দাস (৪০) এর লাশ ঢাকা নবাবপুর ‘হোটেল ফারুক’ নামের একটি আবাসিক হোটেলের ১৫নং রুম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে তাদের ধারণা করা হচ্ছে সে বিষ পানে আত্মহত্যা করেছে। গত ২৭ জুলাই রাতে বংশাল থানার এসআই আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। গোপাল হবিগঞ্জ সদর উপজেলার চরহামুয়া গ্রামের গোপেশ চন্দ্র দাসের পুত্র। সে শায়েস্তাগঞ্জ দাউদনগর বাজারে সুমন প্লাজায় ‘বস্ত্র মেলা’ দোকানের ব্যবসায়ী। জানা যায়, গত ২৬ জুলাই গোপাল দাসের ছেলে সাগর দাস শায়েস্তাগঞ্জ থানায় বাবা নিখোঁজ মর্মে একটি জিডি করেন। জিডিতে দেয়া তথ্যানুযায়ী, গোপাল দাস ২৫ জুলাই দুপুর ২টায় বাসা থেকে দোকানে ও পরে নবীগঞ্জে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বের হন। বিকেল ৩টার দিকে স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানান তার মোবাইলটি ভুলে বাসায় রেখে গেছেন। তার আসতে দেরি হবে। তারপর থেকে আর তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। ওই নাম্বারে ফোন দিলে জনৈক ব্যক্তি জানায়, তিনি নারায়ণগঞ্জে বাস থেকে নেমেছেন। তবে কোথায় যাবেন তিনি জানেন না। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, গোপাল চন্দ্র দাস ১ জন পুরনো কাপড়ের ব্যবসায়ী, ব্যবসায় লোকসান হলে বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় অর্ধ্ব কোটি টাকা কর্জ করেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমান টাকা লোন গ্রহন করেন। পরে তা সময় মত পরিশোধ না করতে পারায় মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েন এবং পাওনাদারের যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ হয়ে ঢাকায় অবস্থান করে বিষপানে আত্মহত্যার পথ বেচে নেন। শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি আনিসুর রহমান বংশাল থানার ওসির বরাত দিয়ে জানান, গোপাল চন্দ্র দাস গত ২৭ জুলাই ওই হোটেলে বিষপান করে আত্মহত্যা করে। ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল সোমবার বিকেলে শায়েস্তাগঞ্জে লাশ আনা হয়েছে। তারপরও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাবার পর মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে।


     এই বিভাগের আরো খবর