,
সুনামগঞ্জে মতবিনিময় সভায় তোপের মুখে সিভিল সার্জন
সংবাদদাতা ॥ সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালসহ জেলার সার্বিক স্বাস্থ্যসেবার মানউন্নয়ন ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সুধীজনের সাথে মতবিনিময় সভায় তোপের মুখে পড়েছেন সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাস। সদর হাসপাতলের বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি আর সেবার মান নিয়ে জনসাধারণের ক্ষোভ আর প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে সদর হাসপাতালের তত্ত্বাধায়কের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদের উপস্থিতিতে সদর হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়ম ও সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেন বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, সাংবাদিক ও সেবাগ্রহীতারা। এসময় তারা সিভিল সার্জনসহ স্বাস্থ্যবিভাগের উদ্দেশ্য করে সম্প্রতি আউটসোর্সিংয়ে কর্মী নিয়োগের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম, লোকনিয়োগে দুর্নীতি, হাসপাতালের বিভিন্ন সেবাদানকারী খাতে টেন্ডার বন্ধ থাকা, হাসপাতালের প্যাথলজি সেবা, ঔষধ সরবরাহ, জরুরি বিভাগ ও বর্হিবিভাগের সেবা, বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের দায়িত্বপালনে অবহেলা ও উদাসীনতা, কতিপয় কর্মকর্তা কর্মচারীর অনিয়ম দুর্নীতিসহ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ৮তলা বিশিষ্ট নতুন ভবন চালু না হওয়ার সমালোচনা করেন।
এসময় জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক এনাম চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে বলেন, জেলার প্রধান চিকিৎসালয়ে এসে মানুষ কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছে না। দুয়েকজন ব্যতিত বাকি ডাক্তাররা নিয়মিত দায়িত্ব পালন করেন না। সরকারি চাকরিতে নিয়মিত বদলি হওয়ার নিয়ম থাকলেও কিছু কর্মকর্তা যুগ সময় ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ফলে তাদের অনিয়ম দুর্নীতিতে সেবার মান বিঘিœত হচ্ছে।
মোজাহিদুল ইসলাম মঞ্জু অভিযোগ করে বলেন, ইমাজেন্সি আর বর্হিবিভাগে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরিবর্তে ইর্ন্টান চিকিৎসক দায়িত্ব পালন করেন। রক্ত আর প্রশ্রাব পরীক্ষা ছাড়া কোনো ধরণে পরীক্ষা হাসপাতালে হয় না। বাকি সব পরীক্ষার জন্য রোগীদের বাইরে যেতে হয়। হাসপাতালের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারি ডায়গনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকের ব্যবসার সাথে জড়িত।
সাংবাদিক জাকির হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, খাতাকলমে ১৪জন ডাক্তার থাকার কথা বললেও দুয়েকজন ডাক্তার ছাড়া বাকিদের দেখা মিলেনা। অনেকেই বেলা ১২টার পরে হাসপাতালে আসেন। সরকার ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮ তলা বিশিষ্ট হাসপাতাল আর কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কিনে দিলেও অদৃশ্য কারণে হাসপাতালের নতুন ভবন উদ্বোধন হচ্ছে না।
জেলা রেডক্রিসেন্ট এর সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মতিউর রহমান পীর বলেন, আউটসোর্সিংয়ের টেন্ডার থেকে শুরু করে লোক নিয়োগে প্রকাশ্যে অনিয়ম দুর্নীতি হয়েছে। সাধারণ পরিবারের ছেলেমেয়েরা টাকা ঘুষ দিয়ে চাকরি নিয়েছে। তাছাড়া হাসপাতালের অনেক সেবাখাতে টেন্ডার বন্ধ রয়েছে। হাসপাতালের সেবা সম্পর্কে জানানো হচ্ছে না জনগনকে।
এসময় অন্যান্যদের বক্তব্য রাখেন সনাকের সদস্য যোগেশ্বর দাস, জাপা নেতা সাইফুর রহমান শামছু, আশরাফুল ইসলাম, সাংবাদিক শহীদনুর আহমেদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমদ সুজন, ছাত্রলীগ নেতা তানভীর আহমদ প্রমুখ।
এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ উপস্থিত সুধীজন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের উদ্দেশ্যে বলেন, হাসপাতালসহ সার্বিক স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। সাধারণ মানুষ হাসপাতালে এসে যদি সেবাবঞ্চিত হয় বা কোনো অনিয়ম দুর্নীতির কারনে স্বাস্থ্যবিভাগ পিছিয়ে থাকে তা সহজভাবে মেনে নেয়া যায় না।
সকল প্রকার অনিয়ম দুর্নীতি রোধ করে সেবার মান উন্নয়নে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন তিনি। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও সদর হাসপাতালের পোর্টালে যাবতীয় সেবা আডলোড করা, সেবার মানউন্নয়নে সেবা কেন্দ্র চালু করা, নিয়মিত টেন্ডার প্রক্রিয়া করে সকল সেবাখাতের মান বৃৃদ্ধিসহ হাসপাতলের নতুন ভবন চালু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাসকে আহবান জানান তিনি। এছাড়াও ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
- সিলেটে শিলাবৃষ্টিতে ম্লান ঈদের আনন্দ :: টিন কিনতেই সর্বস্বান্ত
- চুনারুঘাটে খড়ের নিছে মিললো গাঁজা :: গ্রেপ্তার ১
- আজমিরীগঞ্জে ইয়াবা ট্যাবলেট সহ পুলিশের হাতে আটক তিন
- বাহুবলে পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা ও হামলা :: আহত ২ :: গ্রেফতার ৩
- নবীগঞ্জের দলিল লিখক নূরুল ইসলাম (মোক্তার মিয়া) আর নেই :: দাফন
- নেতিবাচক চিন্তা দূর করতে…
- এই গরমে সুস্থ থাকতে…
- ঈদের দিন রোদ না বৃষ্টি জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর
- হবিগঞ্জে ৫ শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশুর মাঝে নতুন কাপড় বিতরণ
- মাধবপুরে অস্ত্র ও মালামালসহ দুই ছিনতাইকারী আটক
