,

বঙ্গবন্ধুর রক্তঋণ আমাদের শোধ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

সময় ডেস্ক ॥ সোনার বাংলা গড়ে বঙ্গবন্ধুর রক্তঋণ আমাদের শোধ করতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন,৭ই মার্চের ভাষণের শেষ কথায় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন প্রয়োজনে বুকের রক্ত দেবো। সেই রক্তই তিনি দিয়ে গেছেন। আমাদের তার সেই রক্ত ঋণ শোধ করতে হবে। আজ বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১৫ ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় তিনি একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কখনও নিজের জন্য চিন্তা করেননি। এজন্য দেশের জন্য রাজনীতি করতে গিয়ে তিনি বছরের পর বছর কারাবরণ করেছেন। তারপরও তিনি দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। র্অর্থনীতির উন্নয়নের পথ আমাদের দেখিয়ে দিয়ে গেছেন। তারই দেখিয়ে দেয়া নীতিমালা অনুসরন করেই আমরা কিন্তু দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। স্বাধীন, বিধ্বস্ত দেশকে যখন তিনি অর্থনীতির উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই কিন্তু আঘাতটা এলো। অথচ তিনি যদি বেঁচে থকাতেন আমাদের উন্নত হতে এত দেরি লাগতো না। আরও অন্তত ৬/৭ বছর সময় পেলে তিনি বাংলাদেশকে একটি মর্যাদার আসনে নিয়ে আসতেন। হত্যা,ক্যু,বোমাবাজি,দারিদ্র,হামলা এই কষ্ট ভোগ করতে হতো না। বিশ্বের দরবারে মাথা উচুঁ করে অনেক আগেই চলতে পারতো। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে অন্তত এটুকু বলতে পারি তার আদর্শ নিয়ে আমরা চলেছি। কৃতজ্ঞতা জানাই দেশবাসিকে। বাবা,মা,ভাই সব একদিনে হারিয়ে নি:স্ব আর রিক্ত হয়েছিলাম। দেশ ছেড়ে যখন যাই তখন সবই ছিলো। যখন ফিরে আসি শূণ্য,কেউই নেই। সব হারিয়ে কিন্তু পেয়েছিলাম লাখো মানুষ। তাদেরকে আপন করে নিয়েছি। আর আওয়ামী লীগের অগনিত নেতা-কর্মী তারাও আমাকে আপন করে নিয়েছে। তাদের মাঝেই পেয়েছি বাবা,মা ভাইয়ের ভালোবাসা, এটাই আমার আসলে বড় শক্তি। সেখান থেকেই আমার বড় প্রেরণা। একটি জিনিস আমি মনে রেখেছি, আমার বাবা দেশ স্বাধীন করে গেছেন। এদেশকে গড়ে তুলতে হবে। এদেশের মানুষকে মানুষ হিসেবে বাঁচার সুযোগ করে দিতে হবে। উন্নত জীবন দিতে হবে। ক্ষুধামুক্ত,দারিদ্রমুক্ত উন্নত দেশ গড়তে হবে। আজ সারাবিশ্ব বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে থাকে। অবাক হয় কিভাবে এত দ্রুত উন্নত হতে পারলো। তিনি বলেন, জাতির পিতা আজ আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তার আদর্শ আমাদের মাঝে আছে। তার আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করলে দেশের মানুষের আস্থা বিশ্বাস পাবে,সম্মান পাবে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। শোক,ব্যাথা বুকে নিয়েও আজ কাজ করছি শুধু বাবার কথা চিন্তা করে।


     এই বিভাগের আরো খবর