,

এই শহর পরিচ্ছন্নতার পিছনের এক অজানা নায়কের গল্প!

সময় ডেষ্ক: এই শহর পরিচ্ছন্নতার পিছনের এক অজানা নায়কের গল্প! তিনি আমাদের দায়েন ভাই। তেজগাঁও কলেজের সাবেক ভিপি ও একজন পরিচ্ছন্ন ছাত্রনেতা। আমাদের সমাজের ৮/১০ জন রাজনীতিজ্ঞ দের মত তিনি দলকানা অজ্ঞ নয় তাই তাকে ভালো লাগে। সেও আমাদের মত পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখে। তেলবাজী করতে পারলে সেও হয়তো একজন এমপি-মন্ত্রী হতো পারতো। এই শহরে দায়েন ভাইদের মত লোকেরা মেয়র হলে কখনোই ডেঙ্গু মশার কামড়ে লোকজন অকালে প্রান হারাতো না!
এবার আসি আসল কথায়-
১৯৯১ সাল সংসদ এভিনিউর উল্টাপাশে অবস্থিত মনিপুরীপাড়া থেকে যাত্রা হয় ডাস্টবিন প্রথার। ওখান থেকে প্রতিদিন ট্রলি করে ময়লা নিয়ে যাওয়া হতো এবং ঘর প্রতি ১০ টাকা করে ওদেরকে দিতে হতো যারা ময়লা নিয়ে যায়। এরপর ১৯৯৩ সালে চালু হয় ভ্যান প্রথা। সেটি চালু করেন আমাদের এই দায়েন ভাই। তৎকালীন মেয়র হানিফ সাহেব কমিশনার গাফফার সাহেবের মাধ্যমে এটা জানতে পেরে (দায়েন ভাই) ওনাকে ২টি হাতে ঠেলার ভ্যান দেন। খবরটি কিছুদিনের মধ্যে চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে মেয়র হানিফ সাহেব দায়েন ভাইকে সাধুবাদ জানায় এমন একটি উদ্যোগের জন্য। পর্যায়ক্রমে সারা শহরেই এটা এডপ্ট হতে শুরু করে। ১৯৯৬ সালে মনিপুরীপাড়া কল্যান সমিতির মাধ্যমে কামাল সাহেব (বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) যুদ্ধ পূর্ববতী সর্বশ্রদ্ধেয় জননন্দিত ছাত্রনেতা মতিউর রহমান, তৎকালীন মসজিদের ইমাম সাহেব শামসুল হুদা, ইকবাল আকতার, মাইকেল এর সমন্বয়ে গঠিত একটি তরুন প্রজন্ম সমগ্র ঢাকা শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে এই ময়লা আবর্জনা নিষ্কাশন ও পরিচ্ছন্নতায় ভূমিকা রাখে। এই প্রক্রিয়ার শুরুর পর কাগজ, লোহা, প্লাস্টিক, কিচেন রাবিশের মত আপদগুলোকে সম্পদে পরিণত করা হয় এবং কর্মসংস্থান হয় শতশত মানুষের। সেদিন কয়েকজন যুবক এতবড় শহরকে পরিষ্কার করার দায়িত্ব নিয়ে সফল হয়। যেখানে তাদের ছিলো না কোন সরকারি বরাদ্দ আর আজ এত বরাদ্দ থাকার পরও এই শহর এত অপরিষ্কার এত নোংরা যার পরিপ্রেক্ষিতে আজ এডিস মশা-ডেঙ্গু আমাদের গিলে খাচ্ছে। ক্ষমতার পালাবদল হোক কিন্তু যতদিনে এসব যোগ্য নীতিবান সমাজকর্মীরা দেশের হাল না ধরবে কোনদিন এ দেশ পরিবর্তন হবেনা। এদেশের রাজনীতিতে এদের প্রয়োজন। এ শহরে পরিবর্তন আসুক দলমত নির্বিশেষে এরকম যোগ্য ও দেশকে ভালবাসে এমন সব লোকদের হাত ধরে।


     এই বিভাগের আরো খবর