কুলাউড়া উপজেলায় নিজ ঘরে শারমিন আক্তার (১৮) নামের এক কলেজ ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের বালিয়াটিলা গ্রামে। সে হাজীপুর ইউনিয়নের বালিয়াটিলা গ্রামের লাল মিয়ার মেয়ে। শারমীন সুজা মেমোরিয়াল কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
মা বাবা ও পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশ্য করে চিরকুটে সে লিখে, ”আমি খুব ভালো ছাত্রী ছিলাম। আমার আব্বা, আম্মা ও ভাই আমাকে খুব আদর করেন ও ভালোবাসেন। আমার মা-বাবা আমাকে তাদের পছন্দে বিয়ে দিতে চাইছিলেন। কিন্তু আমি বিয়ের জন্য রাজী নই। আবার আমি বিয়েতে অমত করলে মা-বাবা কষ্ট পাবেন। আমি মা-বাবাকে কষ্ট দিতে চাই না। কাঁদতে আমার খুব কষ্ট হয়। আত্মহত্যা মহাপাপ। তবে বেঁচে থাকা আমার জন্য অসম্ভব তাই মৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছি। আমি জানি আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করবেন না। ওপারে জাহান্নামের আগুনে আমি জ্বলবো। তবুও আমাকে সবাই মাফ করে দিয়েন খুশি হবো। ইতি S. A”।
চিরকুটে সে আরও লিখেছিল, আমার জীবনের ১৬টি বছর খুব সুন্দর ছিলো। কিন্তু ১৭তম বছরে অনেক কিছু ঘটে গেছে।
খবর পেয়ে কুলাউড়া থানার উপ পরিদর্শক মো. আবুল বাশার শারমীনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দেন।