,

দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ কথা বলছে চোখের ওপর চোখ রেখে

সময় ডেস্ক ॥ ভারতের সঙ্গে কথা বলার মতো কিছু নেই। এরই মধ্যে শান্তি ও আলোচনার জন্য দিল্লির প্রতি যেসব প্রস্তাব দেয়া হয়েছে তা ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দ্যা নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেয়া সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তার ওই সাক্ষাতকার নিয়েছেন সাংবাদিক সালমান মাসুদ ও মারিয়া আবি-হাবিব। প্রকাশিত হয়েছে বুধবার। এতে ইমরান খান বলেন, তাদের সঙ্গে কথা বলার মতো কিছু নেই। আমি আলোচনার সব রকম চেষ্টা করেছি। দুর্ভাগ্যজনক হলো, যখন আমি পিছনের দিকে ফিরে তাকাই তখন দেখি তারা সেইসব শান্তি আলোচনার প্রস্তাবকে নিজেদের আত্মতুষ্টি হিসেবে নিয়েছেন। রাজধানী ইসলামাবাদে নিজের অফিসে বসে দেয়া এই সাক্ষাতকারই আন্তর্জাতিক সংবাদ বিষয়ক সংগঠনকে দেয়া তার প্রথম সাক্ষাতকার। এতে কাশ্মীর ইস্যুতে তিনি বলেছেন, আর কোনোকিছু নেই, যা আমরা করতে পারি। উল্লেখ্য, গত ৫ই আগস্ট প্রেসিডেন্টের আদেশের ভিত্তিতে তড়িঘড়ি করে ভারত সরকার জম্মু-কাশ্মীরের সাত দশকের বেশি সময়ের স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নেয়। যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। কারফিউ জারি করে। তখন থেকে কমপক্ষে ৪ হাজার মানুষকে গ্রেফতার করেছে সরকার। এ প্রসঙ্গে ইমরান খান বলেছেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সেখানে ৮০ লাখ মানুষের জীবন ঝুঁকিতে। আমাদের সবার মধ্যে আতঙ্ক এই নিয়ে যে, সেখানে জাতি নিধন ও গণহত্যা ঘটতে পারে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একজন ‘ফ্যাসিস্ট’ ও হিন্দু আধিপত্যবাদী হিসেবে আখ্যায়িত করেন ইমরান খান। মোদির বিরুদ্ধে অভিযোগে তিনি বলেন, তার উদ্দেশ্য হলো কাশ্মীরের মুসলিম জনগণকে নির্মূল করে সেটাকে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল বানানো। কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নেয়ার পর একের পর এক টুইট করেছেন ইমরান খান। এতে তিনি বার বার ভারত সরকারের নীতির কড়া সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, ভারতের হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) আদর্শ অনুসরণ করছে ভারত সরকার। ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) হলো আরএসএসর মূল দল। বিজেপি বিশ্বাস করে ‘হিন্দু আধিপত্যবাদ’। নিউ ইয়র্ক টাইমসের সঙ্গে কথা বলার সময় ইমরান খান উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি মনে করেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি সামরিক ‘অ্যাকশনের’ বৈধতা দেয়ার জন্য কাশ্মীরে ‘মিথ্যা-পতাকা অপারেশন’ চালাতে পারে ভারত, যাতে পাকিস্তান জবাব দিতে বাধ্য থাকে। ইমরান খানের ভাষায়, আপনি দেখছেন দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ এখন চোখের ওপর চোখ রেখে কথা বলছে। এ থেকে যেকোনো কিছু ঘটে যেতে পারে। আমার ভয় হলো, এই অবস্থা আরো উত্তেজনার দিকে যেতে পারে পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে। তা হবে সারা বিশ্বের জন্য একটি এলার্মিং বিষয়। ওদিকে গত ১৪ই আগস্ট আজাদ জম্মু-কাশ্মীরের পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে ভাষণ দেন ইমরান খান। এ সময় তিনি নরেন্দ্র মোদিকে সতর্ক করেন। বলেন, পাকিস্তানের ভিতরে ভারত যেকোনো ‘অ্যাকশনে’ গেলে তার আরো শক্তিশালী জবাব দেয়া হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর