,

চুনারুঘাটে রেমা-কালেঙ্গা অভয়ারণ্যে চলছে গাছ পাচারের মহোৎসব, ৬ লক্ষ টাকার সেগুন কাঠ উদ্ধার

চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাট উপজেলার রেমা-কালেঙ্গা অভয়ারণ্যে চলছে গাছ পাচারের মহোৎসব। আর এর সবই হচ্ছে বন বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তাদের যোগসাজসে। রক্ষকরাই যেন অবতীর্ণ হয়েছেন ভক্ষকের ভূমিকায়। যার ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে গাছ পাচার ও লুটের ঘটনা। এর কাজে জড়িত আছে সরকারি দলের কতিপয় কিছু নেতার নেতৃতে। গত ১৬ আগস্ট রাতে বন বিভাগ ও চুনারুঘাট থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে চুনারুঘাট উপজেলার দক্ষিণ নরপতি গ্রামের গাছ ব্যবসায়ী মশিউর রহমান চৌধুরী ফয়সল ও তার চাচা মুকিত চৌধুরীর বাড়ির পুকুর থেকে প্রায় ১৯১ ঘনফুট সেগুন যার বাজার মুল্য ৬ লাখ টাকা হবে। উদ্ধার কাঠগুলো শায়েস্তাগঞ্জ রেঞ্জ অফিসে রাখা হয়েছে। এদিকে চোরাই কাঠ উদ্ধার হলেও চোরাকারবারিরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে গেছে। তাদের কেউ এখনও গ্রেফতার হয়নি। উদ্ধার চোরাই কাঠগুলো চুনারুঘাট উপজেলার পূর্ব পশ্চিম সংরক্ষিত বনাঞ্চলের বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে চুনারুঘাট বন বিভাগের টহল অফিসার ইনচার্জ শুভময় বলেন, উদ্ধার গাছগুলো রশিদপুর ও কালেঙ্গা বন বিভাগের। এ ঘটনায় কালেঙ্গা রেঞ্জের রশিদপুর বন বিটের ফরেস্টার হাওলাদার আব্দুল ছালাম বাদী হয়ে ১৯ আগস্ট চোরচক্রের মূল হোতা মশিউর রহমান চৌধুরী ফয়সলের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ কোর্টে বন আইনে মামলা করেছেন। যার মামলা নং ৩৩-১৯। বন বিভাগরে সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে গাছপালা পাচারের ফলে বনভূমি এখন উজার হয়ে যাচ্ছে। জেলার চুনারুঘাট উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী ও বনভূমি এলাকার নিকটবর্তী স্থানে বনভূমির অনুমোদন ছাড়া অসংখ্য করাত কল গড়ে উঠায় বনের গাছপালা দস্যুরা সহজেই করাত কলে মজুদ রাখতে পাড়ছে। এর পর সুযোগ বুঝে রাতের আধারে দেশের বিভিন্নস্থানে ট্রাক ও ট্রাক্টর যোগে পাচার করে নিয়ে যাচ্ছে। সংরক্ষিত বনভূমি থেকে মূল্যবান বনসম্পদ অবৈধ পথে পাচারের ফলে একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ঠ হচ্ছে অন্যদিকে বনভূমিও হয়ে যাচ্ছে বৃক্ষহীন। আর এতে করে সরকার হারাচ্ছে প্রতি বছর শতকোটি টাকার রাজস্ব।


     এই বিভাগের আরো খবর