,

স্ত্রীকে মারপিট করে ৪ মাসের শিশু কন্যাকে পানিতে নিক্ষেপ

সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জে এক পাষন্ড পিতার কান্ড! স্ত্রীকে যৌতুকের দাবীতে মারপিট করে শিশু সন্তানকে পানিতে ফেলে হত্যার চেষ্টার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতিত ছফিনা বেগম নামের গৃহবধূ এ প্রতিনিধিকে জানান, নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ইছবপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের পুত্র সোহেল মিয়া প্রায় দেরবছর পূর্বে বিবাহ করেন, একই উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের ময়না মিয়ার কন্যা ছফিনা বেগম (২০) নামের যুবতীকে। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই নেশাগ্রস্থ অবস্থায় যৌতুকের দাবীতে সোহেল তার  স্ত্রীকে প্রায় সময়ই গালিগালাজ ও মারপিট  করতেন। প্রায় ৪ মাস পূর্বে ছফিনার কোল আলোকিত করে একটি ফুটফুটে শিশু কন্যা জন্ম নেয়। ছফিনা ভেবে ছিলেন এখন হয়তো নির্যাতন কমে পরিবারে সুখ নেমে আসবে। কিন্তু স্বামীর সংসারে সুখের বদলে নির্যাতনের স্টিমরোলার নেমে আসে ছফিনার জীবনে। তবুও স্বামীর নির্যাতন সহ্য করে কোনরকম তিনি ঘর-সংসার করেন ছফিনা। মাঝে মধ্যে স্বামীর দাবীর প্রেক্ষিতে ছফিনা তার বাবা ও ভাইয়ের কাছ থেকে টাকা পয়সা দিয়ে সোহেলকে শান্তনা দিতেন।  তবু কিছু দিন পর-পরই সোহেল বেপরোয়া হয়ে উঠেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার বিকাল অনুমান ৩ টার দিকে ছফিনার স্বামী সোহেল মিয়া নেশাগ্রস্থ অবস্থায় বাড়ীতে এসে তার স্ত্রী ছফিনাকে ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের জন্য চাপ-সৃষ্টি  প্রয়োগ করেন, এ সময় ছফিনা টাকা দিতে অনীহা প্রকাশ করলে তাকে বেধরকভাবে প্রহার ও নির্যাতন চালায় তার স্বামী সোহেল। একপর্যায়ে ছফিনার কোলে থাকা শিশু কন্যা ৪ মাস বয়সী তাদের ঔরষজাত সন্তানকে হত্যার উদ্দেশ্যে কেড়ে নিয়ে পার্শ্ববর্তী জমির পানিতে ফেলে দেয় পাষন্ড পিতা সোহেল। তাৎক্ষনিক মা ছফিনা বেগম জীবনবাজি রেখে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে অন্যান্য লোকদের সহায়তায় এই শিশু কন্যাকে উদ্ধার করেন। তখন পাড়া প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় পাষন্ডের কবল থেকে মা মেয়েকে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। পরে তাদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ঘটনায় ছফিনা ও তার অসহায় পিতা আইনী সহায়তা পেতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর