,

যেসব খাবারে ঘুম বাড়ায়

সময় ডেস্ক ॥ ঘুম বা নিদ্রা হচ্ছে মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর দৈনন্দিন কর্মকান্ডের ফাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, যখন সচেতন ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া স্তিমিত থাকে। এটাকে জীবনের একটি স্বাভাবিক অঙ্গ বলেই আমরা মনে করি। ঘুম না এলে অবশ্য সমস্যা হয়। আসলে আমাদের সকলেরই কোন না কোন সময়ে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। একে বলে অনিদ্রা। ঘুম মানুষের নিত্য অনুষঙ্গ। এলিজাবেথান পিরিয়ডের নাট্যকার দোমাস ডেকার বলেন, ঘুম হলো এমন এক অনুসঙ্গ যা আমাদের স্বাস্থ্যের সঙ্গে দেহের সংযোগ ঘটায়। অন্যদিকে ঘুম কম হলেই মাথা ব্যথা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ কিংবা স্ট্রোক হতে পারে  দ্বিতীয়ত বিষ্ণণতা এবং ভয়ের প্রবণতা বাড়তে পারে।
কখনো কখনো অল্প কদিন অনিদ্রা হয় যদি আমরা চিন্তিত বা উত্তেজিত থাকি। কয়েকদিন বাদে এটা কেটে গেলে আমরা আবার স্বাভাবিক ভাবে ঘুমোতে পারি। আমাদের শরীর এবং মন সুস্থ রাখতে ঘুমের প্রয়োজন। বেশিদিন ঠিকমত ঘুম না হলে আমরা তার ফল বুঝতে পারি।
কাজুবাদাম: প্রচুর পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ কাজুবাদাম। এতে প্রচুর আঁশ ও পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। হৃদপিন্ডের জন্যও বেশ উপকারী। শরীরকে ফিট ও সুস্থ রাখতে কাজুবাদাম বেশ কার্যকরী। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, কাজুবাদামকে ঘুমবান্ধব খাবার বলা হয়। এটি ঘুম-নিয়মিতকরণ হরমোন মেলাটোনিন উৎপাদন করে।
কলা: কলাতে প্রচুর ট্রিপটোফান আছে। ম্যাগনেসিয়ামে ভরপুর পাকা কলা। আর এ দুটি উপাদানই ঘুম-নিয়মিতকরণ হরমোন মেলাটোনিন উৎপাদনে প্রয়োজনীয়। কলাতে আছে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবার, যা ধীরে হলেও দৃঢ় শক্তির জোগান দেয় শরীরে। কলা ক্ষুধাভাব কমায়।
চেরি: রাতের খাবারের পর চেরি ফল খেলে ঘুম ভালো হয়। তা ছাড়া মাথাব্যথা ও মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতেও এই ফল সাহায্য করে। চেরিতে থাকা মেলাটোনিন রক্ত চলাচলে সহায়তা করে।
দুধ: দুধকে সুষম খাবার বলা হয়। দুধ ট্রিপটোফানের পরম উৎস। দুধ খেলে শরীরে মেলাটোনিন ও ট্রিপটোফান হরমোন নিঃসৃত হয়, এই হরমোনগুলো ঘুম ভালো হতে সাহায্য করে। তাই রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধ পান করুন। গরম দুধ মাংসপেশিকে শিথিল করে। ফলে ঘুম তাড়াাতাড়ি আসে।
মধু: ঘুমানোর আগে এক টেবিল-চামচ মধু খেলে ভালো ঘুম আসে। মধুতে ঘুম উৎপাদনকারী হরমোন অ্যামিনো অ্যাসিড ট্রিপটোফান আছে। তা ছাড়া মধুর অনেক গুণ। মধু ওজন কমাতেও সাহায্য করে।


     এই বিভাগের আরো খবর