,

নবীগঞ্জে আগের মতো দেশীয় হাসঁ, মোরগ ও কবুতর পালনে আগ্রহ নেই শৌখিন মানুষের

শাহ সুলতান আহমেদ ॥ গ্রাম বাংলার তথা নবীগঞ্জ উপজেলার পল্লী এলাকার শৌখিন লোকেরা দেশীয় হাসঁ, মোরগ ও কবুতর পালনে এক সময়ে আগ্রহ থাকলে ও ইদানিং কালের বিবর্তে হাসঁ, মোরগ ও কবুতর পালন বিলুপ্তি ঘটছে। নবীগঞ্জ উপজেলার  প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রাম ও মহল্লায় ঘুরে দেখা গেছে প্রতিটি পরিবারের মহিলারা এক সময়ে কম বেশি হাসঁ মোরগ, ও কবুতর পালন করতেন। এমন কি  অনেক লোক তাদের বাড়িতে মিনি খামার স্থাপন করে তা বিক্রি করে পরিবারের খরচ চালাতেন। অনেকেই হাঁস মোরগ পালন করে স্বাবলম্বীও হয়েছেন। ইদানিং হাঁস মোরগ পালনের বিলুপ্তি ঘটেছে। এমনকি উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে সারিবদ্ধ ভাবে দীর্ঘ লাইন করে হাস, মোরগ ও কবুতর বিক্রি হতো। ক্রেতাদের ও উপচে পড়া ভীড় ছিল লক্ষনীয়। কিন্তু কালের বিবর্তে ইদানিং তা বিলুপ্তি হচ্ছে। ফলে গ্রাম বাংলার প্রাচীণ ঐতিহ্য বিলুপ্ত হচ্ছে। পূর্বের চেয়ে  বর্তমানে হাঁস, মোরগের দাম ও চাহিদা বাড়ছে বহুগুন। বেশী দামে পছন্দের  দেশীয় হাঁস, মোরগ অনেকটা দুঃপ্রাপ্য। মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনের কাছে পছন্দের হাঁস মোরগ আজ অনেকটা স্বপ্নের মতো। খোঁজ নিয়ে  আরো জানা গেছে সরকারী, বেসরকারী বিভিন্ন সংস্থা হাঁস, মোরগ পালনে ঋন দিলে ও বাস্তবে তা সঠিক মতো কাজে আসছেনা। নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা মিলে ৩শ ৫০ টি গ্রামে প্রায় ৫০ হাজার পরিবারের বসবাস। তিন শ্রেনী লোকের মধ্যে এক শ্রেণী উচ্চ বিত্ত, মধ্য বিত্ত ও নিম্ন বিত্ত পরিবার রয়েছেন। তারা যদি আগেকার দিনের মতো হাসঁ, মোরগ ও কবুতর পালনে মনোনিবেশ করেন তা  হলে এক দিকে যেমন নিজে স্বাবলম্বী হবেন অপরদিকে পূরন হবে চাহিদা।


     এই বিভাগের আরো খবর