,

মুক্তি পাচ্ছে নবী মুহাম্মদকে (স.) নিয়ে ইরানের নির্মিত সিনেমা ॥

সময় ডেস্ক ॥ শিগগিরই মুক্তি পাচ্ছে ইরানের নির্মিত নবী মুহাম্মদকে (স.) নিয়ে সিনেমা ‘মুহাম্মদ- খোদা কা পয়গাম্বর’। সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন ইরানের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মাজিদ মাজিদি। ছবিটিতে সঙ্গীত আয়োজন করেছেন এ আর রহমান। এটিকে এ পর্যন্ত নির্মিত ইরানের ছবিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ছবি বলা হচ্ছে। ইরানসহ আশপাশের কয়েকটি দেশে ছবিটি মুক্তি পাবে বলে জানা যায়। সূত্র : বিবিসিউর্দু ছবিটি নবী মুহাম্মদের জীবনকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে এবং তিনটি অংশে এটাকে পরিপূর্ণ করা হবে। সম্প্রতি যে অংশটি মুক্তি পাচ্ছে সেটার মধ্যে নবীজির জন্ম ও শৈশব স্থান পেয়েছে। ফিল্মটির স্যুটিং হয়েছে তেহরানের নিকটবর্তী একটি শহরে। যেখানে পাহাড় রয়েছে। এলাকাটাকে মক্কা মদিনার আদলে তৈরি করে নেওয়া হয়েছে। ফিল্মটির কিছু অংশের শুটিং ভারতে করার ইচ্ছে ছিল পরিচালকের। কিন্তু এর জন্য সাবেক কংগ্রেস সরকার তাকে অনুমতি দেয়নি। ফিল্মটির কিছু অংশের শুটিং হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি এলাকায়। ফিল্মটি মুক্তির জন্য ইরান সরকারের অনুমোদন পেয়েছে। এটি নির্মাণ করতে তিন বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে বলে জানান পরিচালক। ফিল্ম বিষয়ে পরিচালক মাজিদ মাজিদি বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে ইসলামকে অনেক হেয় করা হয়, এবং ইসলামকে ভুলভাবে তুলে ধরা হয়। এই ভ্রান্তি নিরসনের জন্যই নির্মিত হয়েছে এই ফিল্ম। তিনি বলেন, অনেক যাচাই বাছাইয়ের পর ফিল্মটি নির্মাণ করা হয়েছে। ইসলামের প্রচারও এ ছবির উদ্দেশ্য। সিনেমায় নবীজির চরিত্র ধারণকারীর চেহারা দেখানো হয়নি। কেবল তার কণ্ঠ ব্যবহার করা হয়েছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে পেছনের দিক থেকে তাকে উপস্থাপন করা হয়েছে। সিনেমাটি বানানোর আগে অনেক সমালোচনা হয়। আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য স্থান থেকে বেশ প্রতিবাদও এসেছে। তবে সেই সমালোচনা দমে যাননি মাজিদ মাজিদি। নবী মুহাম্মদকে নিয়ে ইতোপূর্বে বেশ কয়েকটি ছবি নির্মিত হয়েছে। সর্বপ্রথম তাকে নিয়ে ছবি নির্মাণ করেন ইরানের চলচ্চিত্র পরিচালক মুস্তফা আক্কাদ। তার নির্মিত দ্য ম্যাসেঞ্জার ছবিটি প্রচুর আলোচনা সমালোচনার জন্ম দেয়। মাজিদির জন্ম ইরানি মধ্যবিত্ত পরিবারে। তেহরানে বেড়ে ওঠা মাজিদ ১৪ বছর বয়স থেকেই অপেশাদার নাট্যদলের সাথে কাজ করতেন। পরবর্তীতে তেহরানের ইনস্টিটিউট অব ড্রামাটিক আর্ট থেকে তিনি নাট্যকলার ওপর শিক্ষা গ্রহণ করেন। ১৯৭৯ সালে ইরানি বিপ্লবের পর চলচ্চিত্রের দিকে আগ্রহী মাজিদ বিভিন্ন চলচ্চিত্রে অভিনয় করা শুরু করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোÑ ১৯৮৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘মোহসেন মাখমালবাফের বয়কট’। ২০০৪ সাল পর্যন্ত মাজিদ ছিলেন একাডেমি অ্যাওয়ার্ড এর জন্য মনোনীত একমাত্র ইরানি চলচ্চিত্রকার। তার নির্মিত ব্যবসা সফল ছবির মধ্যে রয়েছে চিলড্রেন অব হেভেন। ছবিটি বিশ্বের অনেকগুলা ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। সম্পাদনা : আশরাফুল আলম


     এই বিভাগের আরো খবর