,

‘বানিয়াচংয়ে জোর পূর্বক লক্ষাধীক টাকার গাছ কর্তনের অভিযোগ ॥ থানায় অভিযোগ’ প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা

‘বানিয়াচংয়ে জোর পূর্বক লক্ষাধীক টাকার গাছ কর্তনের অভিযোগ ॥ থানায় অভিযোগ’ শিরোনামে গত মঙ্গলবার দৈনিক হবিগঞ্জ সময় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি আমাদের দৃষ্টি গোচর হয়েছে। যা মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়ন্ত্রমূলক ভিত্তিহীন সংবাদ বটে। প্রকৃত ঘটনা হলো বিগত ২০০০খ্রিঃ বানিয়াচং উপজেলার কুর্শাখাগাউড়া ইউনিয়নের বড়আব্দা গ্রামের গাউছিয়া জামে মসজিদের নির্মাণেরশার্তে শাখা বরাক নদী থেকে মাটি উত্তোলন করে ভিট তৈরী করা হয় এবং এরপর থেকে ওই ডোবাটি প্রতি বছরই ইজারা দেওয়া হয়। মসজিদের ভিটের চারদিকের যে গাছ পালা লাগিয়ে মসজিদের উন্নয়ন খ্যাতে ব্যবহার করা হয়। গত ২০০৬খ্রিঃ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও হবিগঞ্জের বাসিন্দা এড. চৌধুরী আব্দুল হাই, হবিগঞ্জ শাহী ঈদগাহ’র খতিব গোলাম মোস্তফা নবীনগরীসহ উপস্থিত সকল অথিতির সামনে একই গ্রামের মৃত হাজী আব্দুল করিমের পুত্র আব্দুল ওয়াদুদ হিরা মিয়া, মাওঃ আব্দুল মালিক, মতিউর রহমান মতি ও মৃত হাজী আব্দুল করিমের কন্যা বদরুননেছা পারুল উক্ত মসজিদটি তৈরী করে এলাকাবাসীকে মসজিদের জায়গা বুঝিয়ে দেই। গত প্রায় ৫ বছর আগে মাওঃ আব্দুল মালিক, মতিউর রহমান মতি ও  বদরুনছেনা পারুল মিলে আমরা ৩ ভাই-বোন মসজিদের জায়গা রেজিষ্ট্রারী করে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নিলে আমাদের বড় ভাই আব্দুল ওয়াদুদ হিরা মিয়া বিষয়টি নিয়ে নানান তালবাহানা করে এড়িয়ে যান। পরে জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে স্থানীয় পাঞ্চায়েত বসে। এতে মসজিদের জায়গা আমাদের ৪ ভাই-বোন মসজিদের নামে রেজিষ্ট্রারী করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলে কিছু দিনপর আমাদের বড় ভাই আব্দুল ওয়াদুদ হিরা মিয়া লাপাত্তা হয়ে যান। আমরা ৩ ভাই-বোন মসজিদের নামে জায়গাটি রেজিষ্ট্রারী করে দেই। এর কয়েক বছর পর আমাদের বড় ভাই তার দুই সন্তান সজ্জাত মিয়া ও ময়নুল ইসলামকে নিয়ে আবার ফিরে এসে মসজিদের জায়গায় গড়া একটি মক্তব মসজিদ কমিটির কাছ থেকে ভাড়া নেন। এরপর মসজিদে প্রবেশ করার রাস্তার পাশে মসজিদের জায়গার ৭-৮টি লাগানো গাছ আড়াই হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয় এবং মসজিদের ডোবাটি ৩ হাজার ২শ টাকায় মসজিদ কমিটি ইজারা দেন। পরে মসজিদের জায়গার ৭-৮টি লাগানো নিলামে বিক্রি করা গাছ ক্রেতা একই গ্রামের সামিরুজ্জানের স্ত্রী মাসুদা বেগমকে মসজিদ কমিটি গাছগুলোর কয়েকটা গাছ কেটে দেন। পরে ক্রেতা মাসুদা বেগমের কেনা আরো ২টি গাছ কেটে দেওয়ার সময় আমাদের বড়ভাইর দুই পুত্র সজ্জাত মিয়া ও ময়নুল ইসলাম তাদের ভাড়াকরা লোকজন নিয়ে বাধা প্রদান করে মসজিদ কমিটির লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে প্রাণ নাশের হুমকী দিয়ে তাদেরকে বিতারিত করে দেয়। পরে সংবাদকর্মী ভাইদের ভূল তথ্য দিয়ে উক্ত সংবাদটি প্রকাশ করা হয়। যা মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়ন্ত্রমূলক ভিত্তিহীন সংবাদ। ওই সংবাদটি পড়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ করছি এবং মিথ্যা সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী
মুসল্লীয়ানদের পক্ষে
(আলহাজ্ব মাওঃআব্দুল মালিক)
গাউছিয়া জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা মোতাওয়াল্লী
সাং বড়আব্দা, কুর্শাখাগাউড়া ইউপি, বানিয়াচং।


     এই বিভাগের আরো খবর