,

ফেসবুক যখন গুজব ছড়ানোর হাতিয়ার

সময় ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়টাকে বলা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ। ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা আর হাতে হাতে স্মার্টফোন মানুষকে করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমমুখী। বিশ্বায়ন আর শিল্পায়নের এ যুগে সবচেয়ে বেশি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো। এই সুযোগেকে ব্যবহার করে নানা গুজবও ছড়িয়ে দিচ্ছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। সম্প্রতি এর জেরে বেশ কটি সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। এসব ঘটনার দ্রুত বিচারের পাশাপাশি, ফেসবুক ব্যবহারে সচেতন হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশে মাঝেমধ্যেই ঘটছে ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে সহিংসতা এবং প্রাণহানির ঘটনা। কখনো কখনো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতেও পরিকল্পিতভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে এই মাধ্যম। এ ধরণের ঘটনা প্রথম ঘটে ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের রামুতে। ফেসবুকে এক তরুণ ইসলাম ধর্ম অবমাননাকর পোস্ট দিয়েছেন, এমন গুজবের ভিত্তিতে ১৯টি বৌদ্ধমন্দির ভাংচুর করা হয়। পরবর্তীতে সেই তরুণের খোঁজ আর পাওয়া যায়নি। একই ধরণের ঘটনায় ২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নাসিরনগরে তান্ডব এবং ২০১৭ সালের ১০ নভেম্বরের রংপুরের গঙ্গাচড়ায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। সর্বশেষ ভোলার বোরহানউদ্দিনে এক হিন্দু যুবকের ফেসবুক ম্যাসেজের জের ধরে ২০ অক্টোবর সৃষ্ট তান্ডবে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ জন। অথচ সেই যুবক আগেই তার ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক হওয়ার কথা জানিয়ে থানায় জিডি করেছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক মনে করেন, পূবের ঘটনাগুলোর দৃষ্টান্তমূলক বিচার না হওয়ায়, এমন ঘটনা ঘটছে বারবার। তবে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি ও ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নাজমুল ইসলাম মনে করেন, এসব ঘটনা বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সম্মিলিত প্রয়াসে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, সচেতন হতে হবে ফেসবুক ব্যবহারেও। এদিকে, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার বন্ধে সরকার নানা পদক্ষেপ নিলেও, এতে কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে গুজব তথা অপব্যবহার প্রতিরোধে সচেতনতার বিকল্প নেই বলেও মনে করেন মন্ত্রী।


     এই বিভাগের আরো খবর