,

নবীগঞ্জের দেবপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির দুইপক্ষের সংঘর্ষ, প্যানেল চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা বশিরসহ আহত ১৫

সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠনকল্পে স্থানীয় নেতাকর্মীদের উদ্যোগে পরামর্শ ও নির্বাচন পরবর্তী মূল্যায়ন সভায় দুইপক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা, হট্টগোল ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে সভাটি ভন্ডুল হয়ে দুইগ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের রুপ নেয়। এতে উভয় পক্ষে প্রায় ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্য থামাতে গিয়ে গুরুতর আহত হন দেবপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান বশির আহমদ। সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকালে গোপলার বাজার-সরকার বাজার বাসষ্ট্যান্ডে কমিউনিটি সেন্টারের সামনে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রজব আলীর সভাপতিত্বে আহবায়ক কমিটি গঠনে নির্বাচন পরবর্তী এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় সভার আলোচনায় সদ্য অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী অত্র ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. জালাল আহমেদ বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হওয়ার কারণগুলি চিহ্নিত করা সহ ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠনে পরামর্শ সভার আহবান করা হয়। সভায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এড. জালাল আহমেদ এর সর্মথন নিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বাচ্চু মিয়ার সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হন সাবেক মেম্বার ও বিএনপি নেতা আব্দুল হাই। সভার শুরুতেই চেয়ারম্যান প্রার্থী এড. জালাল আহমেদ এর সমর্থক নেতাকর্মীরা অভিযোগ তুলেন বিএনপি নেতা ও সাবেক মেম্বার আব্দুল হাই ইউনিয়ন উপনির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী আব্দুল মুহিত চৌধুরীর নৌকা প্রতিকের পক্ষে কাজ করেন। আনিত অভিযোগ বিত্তিহীন বলে এ সময় প্রতিবাদ জানান বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হাই। এক পর্যায়ে সভায় হট্টগোলের সৃষ্টি হলে সভা ভন্ডুল হয়ে পড়ে। এর মধ্যে ভানুদেব গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা আখলুছ মিয়া এসে ভানুদেব গ্রামের আব্দুল হাইকে সর্মথন দিয়ে ফুটারচর-ঝিটকা গ্রামের লোকদের কটুক্তি করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং তার পুত্র লিটন মিয়া ফুটারচর ও ঝিটকার লোকজনকে মারধর করার হুকুম দেন। এর জের ধরেই ভানুদেব গ্রাম ও ফুটারচর-ঝিটকা গ্রামের বিএনপি সমর্থক নেতাকর্মীসহ উভয়পক্ষের আত্মীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত ৪ জনকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে এবং অপর আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। সৃষ্ট সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে দেবপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান বশির আহমদ সালিশ হিসেবে এগিয়ে গেলে তিনি রক্তাক্ত গুরুত্বর আহত হন। খবর পেয়ে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। পরে নব-নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও দেবপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মুহিত চৌধুরী সালিশ বিচারের মাধ্যমে বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেন । বিএনপির দুইপক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা বশির আহমদ উপর হামলার ঘটনায় এলাকায় নিন্দা ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।


     এই বিভাগের আরো খবর