,

কুর্শি ইউপি চেয়ারম্যানকে অবাঞ্চিত ঘোষনা অব্যাহত খনকারীপাড়া বাসীর নিকট নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা না করলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমান খালেদকে খনকারীপাড়া গ্রামবাসীর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা না করলে অবাঞ্চিত ঘোষনা অব্যাহত থাকার হুশিয়ার উচ্চরন করে গতকাল রবিবার রাতে নবীগঞ্জ শহরস্থ খালিক মঞ্জিলে অনুষ্ঠিত বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে পুণঃব্যক্ত করা হয়েছে। খনকারীপাড়ার বিশিষ্ট মুরুব্বী ও নবীগঞ্জ শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব মতব্বীর হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং নবীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল গফুর চৌধুরীর পরিচালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির অন্যতম নেতা ও সাবেক হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালক খলিলুর রহমান চৌধুরী দুদু, কেন্দ্রীয় যুবলীগের অন্যতম সদস্য আব্দুল মুকিত চৌধুরী, মহিবুর রহমান চৌধুরী, হাজী আব্দুল কাদির, আব্দুল গফ্ফার, ছুরুক মিয়া চৌধুরী, রফিজ মিয়া, খোকন আহমদ চৌধুরী, আব্দুল বাছিত, হেলাল আহমদ চৌধুরী, আব্দুল লতিফ চৌধুরী, নজির মিয়া, আব্দুল মুকিত চৌধুরী, নবীগঞ্জ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শামীম আহমদ চৌধুরী, সিরাজ মিয়া, লন্ডন প্রবাসী মৃনাল আহমদ চৌধুরী, প্রবাসী কুহিনুর চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর চৌধুরী, জিল্লুর রহমান শিপু, উপজেলা যুবদল সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমদ চৌধুরী রিপন, পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওহি দেওয়ান চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেল, ছাত্রনেতা রায়েছ চৌধুরী, জাকারিয়া শিশু, যুবলীগ নেতা আবু তাহের, সাজান মিয়া, রনি আহমদ চৌধুরী ও শাহ লায়েক আহমদ প্রমূখ। সমাবেশে বক্তাগণ বলেন, দুর্নীতি পরায়ন ও বহু অপকর্মের হুতা কুর্শি ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমান খালেদ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ঐহিত্যবাহী খনকারীপাড়া গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার লোকজনের সাথে অশালীন আচরণ এবং অশ্রাব্য ভাষায় কথাবার্তা বলার প্রতিবাদে সম্প্রতি খনকারীপাড়া গ্রামবাসী সমাবেশ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ক্ষমা চাওয়ার আল্টেমেটাম দেন। অন্যতায় তাকে অবাঞ্চিত ঘোষনারও হুমকী প্রদান করা হয়। কিন্তু চেয়ারম্যান খালেদ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খনকারীপাড়া গ্রামবাসীর কাছে ক্ষমা না চাওয়ায় তাকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হয়েছে। শনিবার এ ঘটনার প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান খালেদের কতিপয় আজ্ঞাবহ লোকজন ইউনিয়নের আইনশৃংখলার সভার কথা বলে লোকজনকে জড়ো করে ভুল তথ্য উপস্থাপন করে ইউপির বিভিন্ন গ্রামের লোকজনকে খনকারীপাড়া গ্রামবাসীর সাথে মুখোমুখি দাড় করানোর অপচেষ্টা এবং ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বক্তাগণ আরো বলেন, এই আন্দোলন কোন গ্রাম বা গোষ্টির বিরুদ্ধে নয়। খনকারীপাড়া গ্রামবাসীর আন্দোলন ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদ ওই গ্রামের কিছু মুরুব্বীদের সাথে অশালীন ব্যবহার করার প্রতিবাদের আন্দোলন। তারা বলেন, উক্ত চেয়ারম্যান খনকারীপাড়ার মুরুব্বীদের কাছে অনতিবিলম্বে ক্ষমা না চাইলে ঘোষিত অবাঞ্চিত কর্মসুচীর পাশাপাশি ইউনিয়নের সকল গ্রামের মুরুব্বীদের সাথে সমন্বয় করে পরবর্তী কঠোর কর্মসুচী দেয়া হবে। যারা এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য গ্রামের সহজ সরল মুরুব্বীদের ভুল বুঝিয়ে একজন অন্যায়কারী চেয়ারম্যানের পক্ষে নেয়ার পায়তারা করছেন সেটা শুভ হবে না।


     এই বিভাগের আরো খবর