,

নবীগঞ্জে সিএনজি চালক হত্যাকান্ড।। বোনকে নিয়ে কটুক্তি করায় হত্যা

সংবাদদাতা:: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের খানপুর গ্রামের অটোরিকশা চালক মামুন মিয়া হত্যাকান্ডে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে উত্তম দাস (৩০) গত সোমবার বিকেলে সুনামগঞ্জের আমল গ্রহণকারী হাকিম আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। স্বীকারোক্তিতে উত্তম দাস আদালতকে জানায়, আমার বোনকে নিয়ে কটুক্তি করায় তার প্রতি আমার ক্ষোভ বাড়ে। ১৮ অক্টোবর তাকে ডেকে নিয়ে কাঠ দিয়ে মাথায় আঘাত করলে সে মারা যায়। পরে লাশ খানপুর ডোবায় ফেলে দেই। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জগন্নাথপুর থানার উপ-পরিদর্শক রাজিব রহমান আদালতে মামুন মিয়া হত্যার বর্ণনা দিয়ে উত্তম দাসের স্বীকারোক্তির কথা জানিয়ে বলেন, অটোরিকশা চালক মামুন হত্যার পর আমরা উত্তম দাসকে গ্রেফতার করি। পরে তার বাড়ি থেকে অটোরিকশা চালকের মুঠোফোন ও অটোরিকশার চাবি উদ্ধার করি। পরে ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে সে দায় স্বীকার করে। পরে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠায়। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ১৮ অক্টোবর জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের জগন্নাথপুর-রানীগঞ্জ-আউশকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে খানপুর এলাকার একটি ডোবায় থেকে অটোরিকশা চালক মামুনের লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার একদিন পর রোববার অটোরিকশা চালকের ভাই আলম মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। নিহত মামুনের পিতা আব্দুল মালিক জানান, উত্তম আমার ছেলের বন্ধু ছিলো। তারা এক সাথে চট্রগ্রামে রাজমিস্ত্রী কাজে ছিলো। সে সব সময় আমার বাড়িতে আসতো। আার স্ত্রীকে ধর্মীয় মা ডেকেছিলো। আর সেই আমার ছেলেকে হত্যা করলো। তিনি ছেলে হত্যাকারী ঘাতক উত্তম এর ফাঁসির দাবি জানান।


     এই বিভাগের আরো খবর