,

বানিয়াচংয়ে ভাতায় অন্তর্ভূক্ত করার নামে যুবলীগ নেতার প্রতারনা

আনোয়ার হোসেন ॥ বানিয়াচংয়ের কাগাপাশা ইউনিয়নে ৪ অসহায় নারী পুরুষকে সরকারী ভাতাভূক্ত করার নাম করে প্রত্যেকের কাছ থেকে ২ হাজার টাকা করে নিয়ে প্রতারনার অভিযোগ উঠেছে ওই ইউনয়ন যুবলীগ সভাপতি জুনাব আলীর বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে গত ২৯ অক্টোবর উমরপুর গ্রামের আব্দুল মতলিব মিয়ার পুত্র আবাল কালাম বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে প্রকাশ, উমরপুর গ্রামের ছব্দর আলীর পুত্র কাগাপাশা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জুনাব আলী ওই গ্রামের ৪ জন নারী পুরুষকে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধি ভাতা নাম দেয়ার নাম করে ২০১৭ সালে জনপ্রতি ২ হাজার টাকা করে ৮ হাজার টাকা ঘুষ নেন। কিন্তু ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও তাদের নামে ভাতার বই ইস্যু না হওয়ায় নিরুপায় হয়ে প্রশাসনের দ্বারস্ত হন তারা। অবশেষে সমাজসেবা অফিস থেকে ভাতাভোগীদের তালিকা সংগ্রহ করে সঠিক তথ্য জানতে পারেন ওই ৪ অসচ্ছল ব্যক্তিগন। তালিকায় উমরপুর গ্রামের মৃত সাহিদ উল্লার স্ত্রী পেয়ারা খাতুনের নাম বিধবা ভাতা, মৃত কাদির উল্লার স্ত্রী মিনারা বেগমের নাম বয়স্ক ভাতার তালিকায়, মৃত এলাছ মিয়ার স্ত্রী সাকিরা বেগমের নাম বিধবা ভাতা ও আব্দুল মতলিবের পুত্র আব্দুল কালামের নাম প্রতিবন্ধি ভাতার তালিকায় থাকলে তাদের নামে সোনালী ব্যাংকে হিসাব নাম্বার খোলা হয়নি এবং তাদের নামে কোন বই ইস্যু করা হয়নি। অপরদিকে ইছহাক আলীর পুত্র গজম্বর আলীর নামে বয়স্ক ভাতার হিসাব নাম্বার থাকলেও সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার জানান ২০১৭ সাল থেকে ওই ব্যক্তির নামে টাকা উত্তোলন করছে কে বা কারা। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সাইফুল ইসলাম প্রধান জানান জিটুপি পদ্ধতি সার্ভে করার সময় কতিপয় ব্যক্তিদের অপকর্ম ধরা পড়েছে। তিনি জানান যাদের নামে হিসাব নাম্বার নাই কিন্তু তালিকায় নাম আছে তাদের সাথে প্রতারনা করেছে একটি মহল। ওইসব অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় মামলা রুজু করার ইচ্ছা পোষণ করেন তিনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মামুন খন্দকার জানান অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে তদন্ত সাপেক্ষে যেকোন ব্যক্তি বা কর্মকর্তা দোষী সাব্যস্ত হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি জুনাব আলী জানান তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেনা। এটা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে দাবী  করেন তিনি।


     এই বিভাগের আরো খবর