,

হবিগঞ্জে এমপি আবু জাহিরের প্রচেষ্টায় ৩ উপজেলায় এমপিওভুক্ত হলো ১৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

স্টাফ রিপোর্টার:: এড. মোঃ আবু জাহির এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় হবিগঞ্জ সদর-লাখাই ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ১৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছে। জেলার মধ্যে হবিগঞ্জ-৩ আসনে সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রতিষ্ঠান এমপিভুক্তির আওতায় আসায় এলাকায় আনন্দের বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এমপি আবু জাহিরকে মিষ্টি মুখ করানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বুধবার গণভবনে সারাদেশে এমপিওভুক্তির তালিকা প্রকাশ করেন। এরপর হবিগঞ্জের তালিকা আসলে ফেসবুকে আনন্দ-উল্লাস প্রকাশ করে পোস্ট দেন এলাকার লোকজন। এমপি আবু জাহির এর ছবিসহ অভিনন্দন বার্তায় ভেসে যায় ফেসবুকের টাইমলাইন। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে হবিগঞ্জ সদর-লাখাই ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিভুক্তির জন্য এমপি আবু জাহির এর কাছে দাবি জানিয়ে আসছিলেন এলাকাবাসী ও শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ। অবশেষে তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় উল্লেখিত ৩ উপজেলায় ১৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছে। এগুলো হল হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়, তরফ উচ্চ বিদ্যালয়, হাজী আলীম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, আষেঢ়া উচ্চ বিদ্যালয়, উমেদনগর পৌর জুনিয়র হাইস্কুল, তেলিখাল উচ্চ বিদ্যালয়, ধল-বামকান্দি মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়, বামকান্দি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার জহুরচান বিবি মহিলা কলেজ, শায়েস্তাগঞ্জ ইসলামী একাডেমী এন্ড হাইস্কুল, লাখাই উপজেলার মুড়িয়াউক উচ্চ বিদ্যালয়, ভবানীপুর উচ্চ বিদ্যালয়, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার দারুল হুদা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, নূরে মোহাম্মদিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা, চানপুর দাখিল মাদ্রাসা, শরীফাবাদ দাকিল মাদ্রাসা ও রিচি মোহাম্মদীয় সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা। এ ব্যাপারে তরফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এমপি আবু জাহির একজন শিক্ষানুরাগী রাজনীতিবীদ। শিক্ষাকে প্রাধান্য দিয়েই তিনি হবিগঞ্জের সার্বিক উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছেন। জেলার ৪টি আসনের মধ্যে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির তালিকায় এসেছে। হাজী আলীম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন আলী বলেন, শুধু আমিই নই, যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে এমপি আবু জাহির এর স্মরণাপন্ন হলে তিনি ফিরিয়ে দেন না। তাঁর নির্বাচনী এলাকায় অসংখ্য স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠান করেছেন তিনি। নিজের নির্বাচনী এলাকার প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই এক এবং একাধিক ভবন নির্মাণ করে দিয়েছেন। শিক্ষাক্ষেত্রে তার এই কর্মতৎপরতায় আমরা কৃতজ্ঞ। নিজামপুরের শরীফাবাদ দাখিল মাদ্রাসার সুপার শেখ মুহাম্মদ খাইরুদ্দীন বলেন, শুধু উন্নয়ন কাজই নয়; সারা বছর প্রতিষ্ঠানে ঠিকমতো লেখাপড়া হচ্ছে কি না সেই খবরও এমপি আবু জাহির রাখেন। যে কোন প্রতিষ্ঠানের পাশ দিয়ে কোথাও যাতায়াত করলে তিনি ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের সাথে কথা বলে যান। বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেন। সঠিক উত্তর দিলে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের প্রতি ধন্যবাদ জানান। আর লেখাপড়ার খারাপ অবস্থা দেখলে ভবিষ্যতে ভাল করার নির্দেশ দেন। হবিগঞ্জের ইতিহাসে এ ধরণের শিক্ষানুরাগী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আমি দেখিনি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এমপি আবু জাহির বলেন, হবিগঞ্জের শিক্ষাক্ষেত্রের উন্নয়নে আমাকে কেউ বলতে হয় না। কোন প্রতিষ্ঠানে কি করতে হবে আমি নিকে থেকেই খোঁজ রাখি। ইতোমধ্যে আমরা শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছি। যতদিন বেঁচে থাকব হবিগঞ্জের শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করার চেষ্টা করবো। তথ্য প্রযুক্তির শিক্ষার দিকে গুরুত্ব দিতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন তিনি।


     এই বিভাগের আরো খবর