,

হবিগঞ্জে কলেজ ছাত্রী অপহরণ মামলায় ২ আসামী কারাগারে

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ লাখাই উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা জিয়া কলেজের ছাত্রী ঝর্ণা আক্তার (১৬) কে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে প্রধান দুই আসামীর জামিন না মঞ্জুর করেছেন আদালত। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অন্যান্য আসামীসহ তাদের লোকজন বাদির উপর আদালতের বারান্দায় হামলা চালিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনাটি ঘটে। মামলার বিবরনে জানা যায়, উপজেলার ভাদিকারা গ্রামের বাসিন্দা ও কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী  ঝর্ণা আক্তার (১৬) এর পিতা মাতা মারা যাবার পর চাচার কাছে থেকে পড়ালেখা করছিল। কলেজে আসা যাবার পথে ঝর্ণার উপর কুনজর পড়ে একই গ্রামের আলমগীর (৩০) এর। সে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্থাব দিত। এতে ঝর্ণা রাজি না হয়ে তার চাচা আব্দুল খালেককে বিষয়টি জানায়। খালেক আলমগীরের অভিভাবকদের নিকট বিচার প্রার্থী হলে লম্পট আলমগীর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর সকালে লম্পট আলমগীরসহ তার লোকজন ঝর্ণাকে অস্ত্রের মুখে একটি মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং বিভিন্নস্থানে রেখে লম্পটরা ঝর্ণাকে ধর্ষণ করে। এব্যাপারে ঝর্ণার চাচা আব্দুল খালেক বাদি হয়ে আলমগীর ও তার সহযোগি মস্তু মেম্বার, ছোয়াব আলী, জাহাঙ্গীরসহ ৫ জনকে আসামী করে মামলা করলে পুলিশ বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে চলতি বছরের ১৫ জুন উপজেলার স্বজন গ্রাম থেকে ঝর্ণাকে উদ্ধার করে। এসময় লম্পটরা পালিয়ে যায়। গতকাল হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুানাল আদালতে উল্লেখিতরা হাজির হলে আদালত মামলার প্রধান আসামী আলমগীর ও মস্তু মেম্বারের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন ও অন্য আসামীদের জামিন মঞ্জুর করেন। বাদি আদালতের বারান্দায় আসলে জামিনপ্রাপ্ত আসামী ও তার স্বজনরা বাদির উপর হামলা চালায় এবং বাদিকে পিঠিয়ে আহত করে। এসময় বাদির চিৎকারে পুলিশ এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আদালতপাড়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর