,

বন্ধুদের নিয়ে সমুদ্র সৈকতে বেড়ানো হলো না রুবেলের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বন্ধুদের নিয়ে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যাচ্ছিলেন রুবেল তালুকদার (২২)। কিন্তু কক্সবাজারে যাওয়ার আগেই লাশ হতে হলো তাকে। গত সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা ও সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন রুবেল। নিহত রুবেল হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার পার্শ্ববর্তী উলুকান্দি গ্রামের ফটিক তালুকদারের ছেলে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রুবেল ও তার চার বন্ধু মুন্না, সুমন, নাসিম, ফারুক মিলে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য সোমবার দিবাগত রাতে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশন থেকে চট্টগ্রামগামী আন্তনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে করে রওনা দেয়। গত সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন দূর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যান রুবেল। তার অন্য বন্ধুরা প্রাণে বাঁচলেও তাদের অবস্থাও গুরুতর। মুমূর্ষ অবস্থায় মুন্নাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং সুমন, নাসিম ও ফারুককে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত রুবেলের বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার পরিবারের লোকজনের আহাজারিতে এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠছে। নিহত রুবেলের পিতা ফটিক মিয়া তালুকদার বলেন, আমার ছেলেটি খুবই শান্ত স্বভাবের ছিল। সে শায়েস্তাগঞ্জের অলিপুরে একটি কোম্পানিতে কমর্রত ছিল। রুবেল আর আমাদের কাছে আর ফিরে আসবে না। চলে গেছে না ফেরার দেশে। এই বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। উল্লেখ্য, গত সেমাবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা ও সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। দুই ট্রেনের শতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৫ জনের পরিচয় পাওয়া গেলেও বেশিরভাগেরই পরিচয় পাওয়া যায়নি।


     এই বিভাগের আরো খবর