,

চুনারুঘাটে শিরিকান্দি গ্রামে মৎস ইজারাদারের পুকুর থেকে ২ লক্ষাধিক টাকার মাছ চুরি ও পুকুর পাড়ে জোর পূর্বক টিন সেডের বসত ঘর নির্মাণ ॥

চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি ঃ
চুনারুঘাট উপজেলার এক মৎস ব্যবসায়ী ও মৎস খামারের ইজারাদারের মাছ চুরির ঘটনায় যাহার মূল্য ২ লক্ষাধিক টাকা। বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করেছিল ব্যবসায়ী। একদল সন্ত্রাসীরা পূর্ব বিরোধের জের ধরে ওই মৎস চাষের পুকুর থেকে ২ লক্ষাধিক টাকার মাছ চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা ও ইজারাদারের পুকুর পাড়ে জোর পূর্বক টিন সেড দিয়ে বসত ঘর তৈরী করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ৬টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। জানা যায়, উপজেলা সদর ইউনিয়নের শিরিকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের পুত্র আঃ হক মাস্টারের বসত বাড়ী পূর্বে সংলগ্ন পুকুরের মালিক জমিলা খাতুন গং কাছ থেকে ওই পুকুরের ৫ বছরের জন্য ৩ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বন্ধক নেন। উপজেলার একই গ্রামের ৭নং উবাহাটা ইউনিয়নের রমিজ আলীর পুত্র ইজারাদার আরজু মিয়া উক্ত পুকুরটি লিজ নেন। নতুন চলতি ১ বছর ধরে মৎস চাষ করে আসছিল। পূর্ব বিরোধের জের ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ভোর ৬টার দিকে একদল সন্ত্রাসীরা ২ লক্ষাধিক টাকার মাছ চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায় ও সন্ত্রাসীরা জোর পূর্বক পুকুর পাড়ে টিন সেড দিয়ে ঘর তৈরী করে। এ সময় ইজারাদার আরজু মিয়া বাঁধা দিলে ওৎ পেতে থাকা অবস্থায় তাকে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করে। তার শুর চিৎকারে স্থানীয় এলাকাবাসীরা এগিয়ে এসে উদ্ধার করে চুনারুঘাট হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত আরজু মিয়া জানান, উপজেলার একই গ্রামের হাঁসের গাঁও গ্রামের পুকুরটি গ্রামের ছইব উল্লার পুত্র জালাল মিয়া (২৫), বিল্লাল মিয়া (৩০), মৃত রহিম উল্লার পুত্র সুমন মিয়া (২৫), মৃত মতিউর রহমান মিয়ার পুত্র দুলাল মিয়া (৩৪), মৃত আব্দুর রহিমের পুত্র ইমান আলী (৪৫), বিল্লাল মিয়া (৪১) ও শাহজাহান মিয়া (৩০), মৃত আব্দুল কাইয়ূমের পুত্র নূরুল হক (৪০), মৃত মতিউর রহমানের পুত্র এখলাছ মিয়া (২৫), মৃত রইছ উল্লার পুত্র সানু মিয়া (৪৫), আরজু মিয়া, তুলাই মিয়াসহ অজ্ঞাত ২০/২৫জন একদল সন্ত্রাসীরা ইজারাদারের মাছ চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে আহত আরজু মিয়া বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় ১৪জনকে আসামী করে অভিযোগের ভিত্তিতে চুনারুঘাট থানায় এসআই আব্দুল্লাহ জাহিরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিনে দেখা যায় সন্ত্রাসীরা জোর পূর্বক টিনসেড দিয়ে বসত ঘর নির্মাণ করেছে। পুলিশ এর উপস্থিতি টের পেয়ে আত্মগোপন করেছে। পুলিশ জানায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ডাকাতি, গাছ চুরি, এলাকায় জুলমতি, নির্যাতন, নারীশিশু নির্যাতন মামলাসহ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়। পুলিশ অভিযান চালাতে উক্ত আসামীদের ধরাতে অব্যাহত থাকিবে। পুকুরের মালিক আব্দুল হক মাস্টার পূর্ব বিরোধের জের ধরে পুকুরের লিজ গ্রহীতা মৎস ব্যবসায়ী আরজু মিয়াকে বিভিন্নভাবে নাজেহাল করার চেষ্টা চালাচ্ছে ও এ ব্যাপারে ২/৩টি মামলা আদালতে বিধবা জমিলা খাতুন বাদী হয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। তাদেরকেও মামলা তুলে আনার জন্য বিভিন্নভাবে প্রাণ নাশের হুমকী ধামকী দেয় সন্ত্রাসীরা। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর থেকে বিধবা জমিলা খাতুনের বসত বাড়ি ও আব্দুল হক মাস্টারের বসত ঘরে জের ধরে ইট পাথর নিক্ষেপ করে। এ ঘটনাটি এলাকাবাসীদের কাছে এলাকায় হেটে হেটে গণ্যমান্য মুরুব্বীদের কাছে জানিয়েছেন। আব্দুল হক মাস্টার ও বিধবা জমিলা খাতুন প্রশাসনের প্রতি সুবিচার পাওয়ার জন্য জোর দাবী জানান। আদালতে ১৪৪ ধারা জারীর পরও চিরস্থায়ী আদালতে নিষেধাজ্ঞার পরও সন্ত্রাসীরা জোর পূর্বক দখল করে ঘর নির্মাণ করে। এ নিয়ে এলাকায় আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে।
চুনারুঘাট ১৮ বন মামলার পলাতক ওয়ারেন্ট আসামী টেনু মিয়া গ্রেফতার
চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি ঃ
চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের হিমালীয়া গ্রামের আব্দুর রউফের পুত্র টেনু মিয়া (৩০) কে গ্রেফতার করে চুনারুঘাট থানা পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে গতকাল রাত ১১টার দিকে হিমালীয় কাঁঠালবাড়ি নামক এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। চুনারুঘাট থানার এ.এস.আই সাজিদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গ্রেফতার করে চুনারুঘাট থানায় নিয়ে আসে। আজ ১২টার দিকে হবিগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করে।
ফারুক মিয়া


     এই বিভাগের আরো খবর