,

হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের শিশু ওয়াডে ইন্টারনিরাই ডাক্তার

রোগী আছে নার্স নেই, রোগী থাকলেও সিট
নেই, অক্সিজেন মেশিন থাকলেও গ্যাস নেই

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ অনিয়ম আর নানা সমস্যায় জর্জরিত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড। জেলার প্রায় ২১ লক্ষ মানুষের একমাত্র চিকিৎসার সর্বোচ্চ আশ্রয়স্থল হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল। এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের অনেকেই নিন্ম শ্রেণীর দিনমুজর ও হতদরিদ্র। অপরিকল্পীত জীবন ব্যবস্থায় এদের সন্তান জন্মদান নিয়ে পড়তে হয় বেকায়দায়। আর গ্রামের হাতুড়ে দাই (দাত্রী)’র মাধ্যমে সন্তান প্রসব করলেও ভুগতে হয় নানা রোগে। প্রসব পরবতী নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েও এখানে রোগী আছে কিন্তু বিছানা নেই, টিউবওয়েল আছে পানি নেই। কয়েকটি পানির টেপ আছে তাও বিকল। কোন-কোন টেপ দিয়ে আবার সারাক্ষণ অল্প-অল্প পানি আসছে। হাসপাতালের নির্দিষ্ট বিচানায় থাকে আয়া ও কতিপয় নার্সদের দখলে। তাদের পরিচিত রোগী আসলে এরাই থাকেন সংরক্ষিত বিচানায়। আর বাকীদের ঠাই হয় ফ্লোরের পলিথিনের বিচানায়। এ ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি করেই যেন নার্সদের দায়িত্ব শেষ। অভ্যন্তরের রুমে গল্প-গুজবে থাকেন সবাই। বাচ্চাদের জরুরী প্রয়োজনে স্বজনরা বার-বার ডাকা-ডাকি করলেও এতে কর্ণপাত করেন না নার্সরা। আবার বেশী ডাকা-ডাকি করলেও বিভিন্ন নিয়ম-অনিয়ম শিখিয়ে রাগ করেন তারা। অক্সিজেন ও গ্যাসের মেশিন গুলোও বিকল। ভর্তিকৃত শিশুদের জরুরী প্রয়োজনে বাহির থেকে নিয়ে আসতে হয় এগুলো। শুধু তাই নয়, ওই ওয়ার্ডের আয়া-নার্স ও সিনিয়র স্টাফ নার্সরা ডিউটিতে আসেন না নিয়মিত। এ ওয়ার্ডে কর্তব্যরত ডাক্তার-নার্সদের উপস্থিতির তালিকা ও থাকে সব সময় শুন্য। এ ব্যাপারে সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ রথিন্দ্র চন্দ্র দেব জানান, নার্সরা কারও সাথে খারাপ আচরণের অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। নার্স ও ডাক্তারদের নিয়মিত উপস্থিতি নিয়ে আর তদারকি করা হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর