স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার লিটন চন্দ্র দাশের বিরুদ্ধে বিধবা ও প্রতিবন্ধি ভাতার দেড় লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। জানাযায়, বিগত ২০১৪ সালে করগাঁও ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের মৃত ধরঞ্জনের স্ত্রী স্বপ্না রাণী দাশ এর নামে বিধবা ভাতার বই দিয়ে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে উত্তোলন করে নিজে তুলে দিতেন ওই মেম্বার। এরপর ২০১৫ একই গ্রামের মৃত সুরেন্দ্র দাশের পুত্র প্রতিবন্ধি সমিরন দাশের নামে একটি প্রতিবন্ধি ভাতার বইয়ের প্রতিমাসের ৭ শত টাকা করেও নিজেই উত্তোলন করতেন। প্রতিবন্ধি ও বিধবার বইয়ের টাকা সাবেক মেম্বার কর্তৃক তুলে নেওয়ার এমন অভিযোগ পেয়ে বই দুটি ব্যাংক থেকে নিয়ে আসেন নবীগঞ্জ উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার আব্দুন নুর। বই আটকের খবর পেয়ে গতকাল সোমবার বিকেল ৩টায় সাবেক ইউপি সদস্য লিটন দাশ ও তার ভাই এড. লিপ্টু চন্দ্র দাশসহ বেশ কয়েকজন মিলে সমাজ সেবা অফিসে গিয়ে উত্তেজিত হয়ে সমাজ সেবা অফিসারকে নাজেহাল করা সহ সরকারী কার্যক্রমে বিঘœ ঘটায়। প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী সমাজ সেবা অফিসে তুমুল বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে লিটন ও তার লোকজন। তাদের শোর চিৎকারে সমাজসেবা অফিসে লোকজন জড়ো হন। এ সময় সমাজ সেবা অফিসার আব্দুন নুর বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদ-বিন-হাসানকে জানালে তিনি বিষয়টি নিয়ে তার অফিসে বসেন। এ সময় বিধবা মহিলা স্বপ্না রাণী দাশ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে তার টাকা পাওয়ার কথা স্বীকার করলে প্রতিবন্ধি সমিরন দাশ বলেন আমি কোন ভাতার টাকা পাইনি। সাবেক মেম্বার লিটন কর্তৃক তার ভাতার টাকা পাওয়ার কোন সত্যতা প্রমান না করতে পারায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদ-বিন-হাসান প্রতি মাসে ৭০০ টাকা হারে হিসাব করে ৪০ হাজার টাকা ফেরৎ দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্য মুছলেখা দিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল হক চৌধুরী সেলিমের জিম্মায় ২ সপ্তাহের টাকা পরিশোধ করবেন মর্মে সময় নেন। এছাড়া সমাজ সেবা অফিসারের নাজেহাল করা সহ সরকারী কার্যক্রমে বিঘœ ঘটানোর জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনাসহ ভবিষ্যতে তারা এমন কাজ করবে না বলে মুছলেখা দিয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদ বিন-হাসান বরাবরে।