,

কালের আবর্তে হারিয়ে যাচ্ছে গরু দিয়ে ধান মাড়াইয়ের উৎসব

সুমন আলী খাঁন ॥ সোনালী আমন ধানে নবীগঞ্জের হাওর ও গ্রামাঞ্চল ভরে উঠেছে। এবারও বাম্পার ফলনের আশায় উৎসব মুখর পরিবেশে সোনালি আমন ধান ঘরে তুলতে মাঠে নেমেছেন কৃষকরা। নতুন ধান ঘরে উঠাতে কৃষকের ঘরে ঈদের আনন্দ বইছে। এবারও বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। নবীগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামে একসময় দেখা যেত গরু দিয়ে ধান মাড়াইয়ের উৎসব। কিন্তু কৃষি যন্ত্র ব্যবহার করার ফলে তাদের কষ্ট লাগব হয়েছে এবং অল্পসময়ে ধান মাড়াই করতে পারছেন কৃষকরা। ধানের মৌসুমে প্রতিটি এলাকায় গিয়ে একসময় দেখা যেত গরু দিয়ে রাত জেগে ধান মাড়াই করছেন কৃষকরা। বর্তমান  যুগে সেটা এখন অতিথ। গ্রামাঞ্চলের কৃষকরা ধান আনা নেয়া করতেন গরুর গাড়ি অথবা ঘোড়া দিয়ে। কালের আবর্তে সেই চিত্র এখন আর দেখা যায় না। গ্রামাঞ্চলের রাস্তা দিয়ে একসময় ধান টানতে কৃষকরা হিমশিম খেতেন। সেখানে পাড়াগায়ের ডুবন্ত রাস্তাগুলো পাকা হওয়ার ফলে গ্রামের সেই সব সড়ক আজ রয়েছে ট্রাক, পিকআপ ভ্যান ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার দখলে। যার জন্য এখন কৃষকদের ধান আনা নেয়া করতে বেগ পেতে হয় না। এখন হাতের নাগালেই পাওয়া যায় ইঞ্জিন চালিত গাড়ি। আগামি প্রজন্মের কাছে গরু ও মহিষের গাড়ি শুধুই গল্প হয়েই থাকবে। কেননা বর্তমান প্রজন্ম গরু দিয়ে যে ধান মাড়াই দেয়া যায় তা জানেনা। দেশ এখন উন্নয়নশীল। সরকারের সফলতায় কৃষি সেক্টরের প্রতিটিস্তরে রোপণ থেকে শুরু করে ধান কাটা ধান মাড়াই ও ঘরে উঠানো পর্যন্ত কৃষি যন্ত্র ব্যবহার করছেন কৃষকরা। আধুনিক ও উন্নত কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রযুক্তি মাঠপর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। সরকারি বেসরকারি সম্মিলিত উদ্যোগে কৃষিবান্ধব সরকার কৃষক পর্যায়ে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ব্যবহারে নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন। ফলে দেশের কৃষি সেক্টরের কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষি যন্ত্র শিল্প ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে। কৃষককে কৃষি যন্ত্র ব্যবহারে আগ্রহী করায় কৃষি খ্যাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন কৃষকরা।


     এই বিভাগের আরো খবর