,

নবীগঞ্জে লীজকৃত সুজাপুর বেরী বিলে মৎসচাষে বাঁধা সৃষ্টি, সমিতির সদস্যদের উপর হামলা

সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের সুজাপুর বেরী বিল জলমহাল নিয়ে ঐ গ্রামের আলী বাহিনী ও নুরুল হক মেম্বারের নেতৃত্বে লীজপ্রাপ্ত জলমহালে মায়ের দোয়া মৎসজীবি সমবায় সমিতির সদস্যদের উপর হামলা নির্যাতনের খবর পাওয়া গেছে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, সরকারের  ভূমি মন্ত্রনালয় কর্তৃক গত ২৮শে অক্টোবর ২০১৮ইং তারিখে ৫৪৬ নং স্মারকে  ৬ বছরের জন্য লীজ নেন সুজাপুর মায়ের দোয়া মৎসজীবি সমবায় সমিতি লিঃ। লীজ নেয়ার পর গত বৈশাখ মাসে ঐ সমিতি যখন মৎসচাষ কার্যক্রম শুরু করে তখন থেকেই একই গ্রামের নুরুল হক মেম্বারের পরিকল্পনায় এবং আলী গংদের নেতৃত্বে অন্যান্য লোকজন বিভিন্নভাবে মৎসচাষে বাঁধা সৃষ্টি করে আসছে এবং বিলের মাছ লুটপাঠ করে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে ঐ কুচক্রীমহল। এ নিয়ে এলাকায় যে কোন সময় খুন খারাপি ও সংঘর্ষের আশংকায় সুজাপুর মায়ের দোয়া সমবায় সমিতির সভাপতি আবু মিয়া বাদী হয়ে হবিগঞ্জ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে নিরাপত্তার জন্য একটি মামলা দায়ের করেন। এ নিয়ে  পুনরায় গত ১৩ অক্টোবর সুজাপুর মায়ের দোয়া মৎসজীবি সমবায় সমিতির সাধারন সম্পাদক মোঃ আব্দুল জলিল বাদী হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য  বাহুবল সার্কেল এএসপিকে নির্দেশ প্রদান করেন। এএসপি বাহুবল সার্কেল অফিসে গত ৯ নভেম্বর উভয় পক্ষের লোকজন ও গনমাণ্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে বিষয়টি সুরাহা করে দেন এবং নুরুল হক মেম্বার ও আলী গংদের জল মহালে মাছ ধরতে নিষেধ এবং কোন রকম বাঁধা বিঘœ সৃষ্টি না করতে নির্দেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে মায়ের দোয়া সমবায় সমিতির লোকজন যখন লীজকৃত বেরী বিলে মাছ ধরা শুরু করলে শালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্তের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গলী প্রদর্শন করে গত ১৯ নভেম্বর রাতে ঐ বাহিনীর লোকজন সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়ে পুনরায় জলমহালে মাছ ধরতে গেলে কর্তব্যরত প্রহরীরা এতে বাঁধা দিলে তাদের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারপিট করলে প্রহরীরা প্রান ভয়ে মজনু মিয়ার বসত বাড়ীতে আশ্রয় নেয়। কিন্তু হামলাকারীরা মজনু মিয়ার বাড়ীতে পুনরায় হামলা ও ভাংচুর করে সেখান থেকে তাদের ধরে নিয়ে যায়। বিষয়টি সাথে সাথেই নবীগঞ্জ থানা পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ গিয়ে আহতদের উদ্ধার করেন। পরিদিন সমিতির সভাপতি আবু মিয়া বাদী হয়ে হামলাকরী নুরুল হক মেম্বার ও আলী গংদের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনাকে অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য অভিযুক্ত নুরুল হক মেম্বার এবং আলী গংরা একই গ্রামের এলাছ মিয়ার পুকুরের পোনামাছ বিষ ঢেলে মেরে ফেলে প্রতিপক্ষের সমিতির লোকজনের উপর চাপানোর অপচেষ্টা করে যাচ্ছে এবং থানা পুলিশ তাদের কিছুই করতে পারবে না বলে এলাকায় প্রচার করছে। এলাকার মানুষ নুরুল হক মেম্বার ও আলী গংদের অত্যাচারে অতিষ্ট কিন্তু ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না কেউ। তাই এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সুজাপুর মায়ের দোয়া সমবায় সমিতির লোকজন হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার ও নবীগঞ্জ থানা পুলিশের  হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর