,

জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা আজ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত -ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ.কে.এম আমিনুল হক

লন্ডন থেকে মতিয়ার চৌধুরী ::  বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনী শুধু দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই কাজ করছেনা, সেই সাথে  আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে কাজ করে দেশ ও জাতির জন্যে সুনাম বয়ে আনছে, বিশেষ করে জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বাংলাদেশের সেনা বাহিনীর ভূমিকা আজ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। এ মন্তব্য লন্ডনস্থ বাংলাদেশ মিশনে নিযুক্ত ডিফেন্স এডভাইডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ.কে.এম  আমিনুল হকের,গতকাল ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় সেন্ট্রেল লন্ডনের  ব্রিটিশ ন্যাশনাল আর্মি মিউজিয়ামে  হাইকমিশনের ডিফেন্স উইং আয়োজিত  বাংলাদেশ আর্মড ফোর্স ডে উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্টানে  তিনি একথা বলেন। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ.কে.এম আমিনুল হক  বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরে বলেন ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সশস্ত্রবাহিনী আনুষ্টানিক ভাবে যাত্রা শুরু করে। এর পর থেকে দেশের সশস্ত্রবাহিনীকে একটি আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বপন দেখেছিলেন তার সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবায়িত হচ্ছে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। শেখ হাসিনার অক্লান্ত পরিশ্রমে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী বিশ্বের একটি আধুনিক এবং সুশৃঙ্খল বাহিনী হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পেয়েছে। লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন। অনুষ্টানে ব্রিটিশ সেনা বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা,  এমপি , লর্ড বিভিন্ন দেশের কুটনীতক এবং বৃটেনে বসবাসরত বাংলাদেশী কমিউনিটির বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্টানে প্রজেক্টারের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর কার্যক্রম, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরা হয়। অনুষ্টানে আগত বিভিন্ন দেশে হাজার খানের অতিথির জন্যে আয়োজন করা হয় নৈশ ভোজের।  আগত বিদেশী অতিথিদের হাতে তুলে দেয়া হয় উপহার সামগ্রিও। বিশেষ করে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কে.এম. আমিনুল হক এই মিশনের যোগদানের পর থেকেই প্রতিবছর লন্ডনে পালিত হচ্ছে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী দিবস আর এর মাধ্যমে বিদেশীরা জানতে পারছে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সেই সাথে দেশের অগ্রগতির চিত্রও।


     এই বিভাগের আরো খবর