সময় ডেস্ক ॥ এ বছর মিস ইউনিভার্স মুকুট জয় করে নিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার জোজিবিনি তুনজি। রোববার রাতে ২৬ বছর বয়সী তুনজির মাথায় সেরার মুকুট পরিয়ে দেন গত বছরের মিস ইউনিভার্স ক্যাটরিওনা গ্রে।ঐতিহাসিক এই মুহূর্তকে বরণ করে নেওয়া তুনজির পক্ষে মোটেও সহজ ছিল না। এর জন্য তাকে অনেক কাটখড় পোড়াতে হয়েছে। তুনজি মুকুট জয় করতে পথচলা শুরু করেন ২০১৭ সাল থেকে। সে বছর সাউথ আফ্রিকায় ২৬ জন মিস ইউনিভার্সের তালিকায় তার নাম থাকলেও প্রথম ১২ জানের তালিকায় নাম না থাকায় তিনি ফাইনালে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। তাতে তিনি দমে যাননি। বরং দ্বিগুণ উৎসাহ আর উদ্দীপনায় আবার পথ চলতে শুরু করেন। মুকুট জয় করতে এ বছর তিনি মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় একের পর এক রাউন্ডে সবাইকে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে আসেন।
সাউথ আফ্রিকা থেকে এর আগে তিনজন নারী এই পুরস্কার পেয়েছেন, তবে তাদের কারোর গায়ের রং কালো ছিল না।
পূর্ব কেপের সোসোতে জন্ম নেওয়া তুনজি জানান, তিনি এমন এক জায়গায় বেড়ে উঠেছেন যেখানে সব নারীর চুল ও গায়ের রং কালো এবং চোখের রং বাদামি। সবাইকে দেখতে একই রকম মনে হয়। যে কারণে কোনো নারীর সৌন্দর্যকে আলাদাভাবে দেখা হয় না। তবে আমাদের সুন্দর বলে মনে করা হয় না। আমরা কালো এটা শুনে শুনেই বড় হতে হয় আমাদের।
মুকুট জয় করার পর তিনি আশাবাদী হয়ে উঠেছেন। তিনি মনে করেন এখন সবাই তাকে ভালোবাসবে। তার দিকে সবাই বিশেষ করে শিশুরা মুগ্ধ হয়ে দেখবে।
এখন তিনি নিউইয়র্কে থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। এর পর মডেলিংয়ের জন্য বিশ্বজুড়ে ঘুরে বেড়াবেন বলে জানান তুনজি।
তিনি স্বপ্ন দেখেন, একদিন নারীরা সবকিছুতে নেতৃত্ব দেবে।
তিনি পেনিসুলা ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে থেকে পাবলিক রিলেশন ম্যানেজমেন্টে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন।বর্তমানে তিনি ওগিলভি কেপটাউনে পাবলিক রিলেশন ডিপার্টমেন্টে ইন্টার্ন করছেন। লিঙ বৈষম্যের বিরুদ্ধেও তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।
ফিলিসওয়া নাদাপু এবং লুঙ্গিসা তুনজির ঘরে ১৯৯৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর জুজুবিনি তুনজি জন্মগ্রহণ করেন। তিন বোন নিয়ে তাদের একটি সুখী সংসার রয়েছে।এ বছর মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয়েছেন মিস পুয?ের্তো রিকো ম্যাডিসন অ্যান্ডারসন এবং দ্বিতীয় রানারআপ মিস মেক্সিকো সোফিয়া আরাগন।
মিস ইউনিভার্সের ৬৮তম এই আসর অনুষ্ঠিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টার টেইলার পেরি স্টুডিওতে। এতে ৯০ দেশের প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করেন। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ থেকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন শিরিন আক্তার শিলা।