,

হবিগঞ্জের সর্বত্রই বেড়ে চলছে গ্রাম্য মাতব্বরদের অপতৎপরতা

জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ জেলার সর্বত্রই বেড়ে চলছে গ্রাম্য মাতব্বরদের অপতৎপরতা। মানুষ জন্মগতভাবেই সামাজিক জীব। জন্মের পর থেকেই মানুষ সমাজ বদ্ধ হয়ে বসবাস করে আসছে। পরিবারের ও সমাজের নানা সদস্যা-ছোটখাট বিবাদ ইত্যাদির সমাধানও করে থাকেন সমাজপতিরা। কিন্তু সেই সমাজপতিরাই যদি হন অসৎ তবে সাধারণ শ্রমজীবি মানুষরা যাবে কোথায়? হবিগঞ্জ সদর উপজেলাসহ সকল উপজেলার এক শ্রেনীর জনপ্রতিনিধিসহ গ্রাম্য মাতব্বররা গ্রামের সহজ-সরল মানুষের মাঝে সৃষ্ট ভুল বুঝা-বুঝিকে ইস্যু করে গ্রাম্য রাজনীতির মারপ্যাচে আটকিয়ে তাদের নিঃস্ব করে ভিটে-বাড়ি ছাড়া করে নিজেরা লাভবান হয়ে থাকেন। একটি অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সম্প্রতি হবিগঞ্জ জেলা সুনামধণ্য পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যাহর বিশেষ প্রদক্ষেপে জেলায় দাঙ্গা-হাঙ্গামা কমে আসলেও, কমে আসেনি দাঙ্গাবাজদের মদদ দাতা গ্রাম্য মাতব্বরদের দৌড়াত্ব। এরা গ্রামে আদিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র সাধারণ মানুষদের উষকানি দিয়ে এক গ্রামের সাথে অন্য গ্রামের দাঙ্গা সৃষ্টি করে। এ দাঙ্গায় ধংস্ব হয় কারোও জিবন, ভিটে বাড়ি ছাড়া হয় কোন পরিবার, মা হারায় তার সন্তানকে, পুত্র হারায় তার পিতা-মাতাকে। পরে সাক্ষী দেয়া থেকে শুরু করে বিচার-শালিস পর্যন্ত দায়িত্ব নেয় উষকানিদাতা গ্রাম্য মাতব্বররা। নিষ্পত্তির শালিসে বরার আগেই চলচল করে উঠে এদের চোখ। আনন্দের সাথে এরা বলে, ‘এটা কোন ব্যাপার না, মাল ছাড়ও, রায় তোমার’। আবার কখনো গ্রাম্য মাতব্বরদের সাথে বিচার প্রার্থীদের হয় এক প্রকার অদৃশ্য চুক্তিও। জরিমানার বিশেষ অংশ থাকে নির্ধারিত তাদের জন্য। শালিসের আগে তাদের নির্ধারিত উৎকোচ না দিতে পারলে শালিসে তাদের করা হয় তিরস্কার। এ তিরস্কারে অপমানিত হয়ে আবার কেউ বেচেঁ নেয় আত্মহত্যার পথও। তবে এদের সঠিক সময়ে বিচার বঞ্চিতদের এদের উপদ্রব থেকে বাচাতে প্রশাসন মূখী করে তুলা উচিত বলে মনে করেন সচেতন মহল। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন রুবেল জানান, গ্রামাঞ্চলের জনসাধারণকে প্রশাসন মূখী করে তুলতে হবে। এদের সমস্যা গুলো প্রশাসন সমাধান করে দিলে গ্রাম্য মাতব্বরদের অপতৎপতার সুযোগ কমে আসবে।


     এই বিভাগের আরো খবর