,

হবিগঞ্জ জেলার আবারোও বেপরুয়া হয়ে উঠছে ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীরা

জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ জেলার আবারোও বেপরুয়া হয়ে উঠছে ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীরা। জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলার এরা সঙ্গবদ্ধ হয়ে কমিটি গঠন করে চালাচ্ছে নানা অপরাধ। ভাঙ্গারীর আড়ালে চলছে মাদক, অবৈধ অস্ত্র ও সরকারী-বেসরকারী চোরাই মালামালের রমরমা ব্যবসা। শুধু চোরাই মালামাল ক্রয়ই নয়, অভিযোগ আছে মানব পাচার থেকে শুরু করে সসস্ত্র ডাকাতিরও। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, হবিগঞ্জ শহরের ধুলিয়াল তেমুনিয়া থেকে শুরু করে শহরের পৌদ্দার বাড়ী, ২নং পুল এলাকায়, কোর্ট স্টেশন এলাকায়, লাখাই রোড, চৌধুরী বাজার খোয়াই মূখ, আনোয়ারপুর বাইপাসহ প্রায় ১ শতাধিক দোকানে চলছে এ ব্যবসা। এ সকল দোকান গুলোতে সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চলে চোরাই মালামাল সংগ্রহের কার্যক্রম। জেলার প্রত্যেকটি উপজেলায় ভাগ করে দেয়া হয়েছে নির্দিষ্ট হকার বা ফেরীওয়ালা। ফেরীওয়ালাদের কাজ হল চোরাই মালামাল সংগ্রহ করা এবং বিভিন্ন বসত বাড়িতে ছদ্দবেশ ধারণ করে বাড়ির ভেতরের অবস্থান জেনে রাতে সহযোগীদের নিয়ে ডাকাতি করে লুটপাট করা। সম্প্রতি প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা টিউবয়েল, বিদ্যুতের তার, বিদ্যতের কুটি, রেললাইনের শিক্ষক ও স্লিপার ইত্যাদিসহ সরকারী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদী বিক্রি ও পরিবহন সম্পূর্ন করলেও বেড়ার আড়ালে চলছে এ ব্যবসা। দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে মাদক পাচারেও পালন করেছে এরা গুরুত্ব পূর্ন ভুমিকা। তবে নিজেদের চোরাচালান দল শক্ত করতে এরা গঠন করেছে পরিচালনা কমিটি। এদের মধ্যে কেউ সভাপতি আবার কেউ সেক্রেটারীও রয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী জানান, ২/৩ টন ভাঙ্গারী মালের ভেতরে হাজার-হাজার পিস ইয়াবা ও গাঁজার বস্তা গোপন করে অনায়াসেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ আড়াল করে আনা-নেয়া যায়। এতে ধরা পড়ার কোন রিস্কই থাকে না। সরেজমিনে জেলা সদরের ভাঙ্গারীর দোকান গুলো ঘুরে দেখা গিয়ে তাদের প্রত্যেকটা দোকানেই সরকারী টিউবওয়েলসহ সরকারী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন নিষিদ্ধ সরঞ্জামাদী রয়েছে। এ ব্যাপারে ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির জেলা সভাপতি মোঃ বাবুল মিয়া জানান, রাতে ডাকাতির বিষয়ে আমার জানা নেই, তবে আগামী মিটিং এ আমি বিষটি নিয়ে সবাইকে সতর্ক করব। চোরাই মালামা ক্রয় করা হয় কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইতা একটু-একটু থাকবই, আমরা দেইক্কাও না দেখার ভান করি। আপনেরাও একটু কম দেকইন’। সদর থানার ওসি মোঃ মাসুক আলী জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আরও আগেও শুনেছি, ইতিমধ্যে প্রমাণসহ দু’একজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সু-নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর