,

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে প্রেমিক ও তার বন্ধুদের কাছে কলেজ ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার

জুয়েল চৌধুরী ॥ চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের গহীন অরণ্যে প্রেমিক ও তার বন্ধুদের কাছে কলেজ ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ব্যপারে গতকাল বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেছে ওই ছাত্রী। জানা যায়, গত ১১ ই ডিসেম্বর সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয় এক স্কুলছাত্রী। মামলায় উল্লেখ করা হয়, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার মামুনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বৃন্দাবন সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর। প্রেমের সুবাধে মামুন তাকে নিয়ে বিভিন্নস্থানে ঘুরাফেরা করতো। এ সময় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায়ই ওই ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতো মামুন। ১১ ই ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে দুজনে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে ঘুরতে যায়। এ সময় সেখানে অবস্থানরত মামুনের কয়েকজন সহকারি ওই ছাত্রীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে উদ্যানের গহীন অরণ্যে নিয়ে যায়। সেখানে প্রথমে প্রেমিক মামুন তাকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে মামুনের সহকারি ফয়জুর রহমান (২৪), আলীম হোসেন (২৫) ও জুনেদ মিয়া (২৭) পর্যায়ক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় আক্কাছ আলী দূর থেকে তাদের পাহাড়া দেয়। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ করেন। যশেরআবদা গ্রামের মাজেদা (১৮) নামের এক যুবতীকে অপহরণের দুই দিন পর উদ্ধার করেছে হবিগঞ্জ থানা পুলিশ। কিন্তু পুলিশের ব্যর্থতায় অপহরণকারী পালিয়ে যায়। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত ৬ জানুয়ারি সোমবার সকাল থেকে নিখোঁজ হয় মাজেদা। তাহার মা আতী¡য়স্বজনের বাড়িতে অনেক খুজাখুজিঁর পর না পেয়ে গত ৭ জানুয়ারী মঙ্গলবার হবিগঞ্জ সদর থানায় মহসিনের নামে অভিযোগ করেন। গতকাল বুধবার দুপুরে শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রীজ এলাকায় মহসিন মাজেদাকে টেনে হেচড়ে সিএনজিতে উঠাতে চাইলে মাজেদা চিৎকার করলে জনতা তাদেরকে আটক করে হক ফিলিং স্টেশনে বসিয়ে রাখে। পরে মাজেদা তার মাকে ফোন দিয়ে জানায়। হবিগঞ্জ থানার এসআই সাহিদ ঘটনাস্থলে পৌছার আগেই অপহরণকারী মহসিন পালিয়ে যায়। পরে মাজেদাকে উদ্ধার করে মার কাছে তুলে দেওয়া হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর