,

বানিয়াচংয়ে আ’লীগ নেতার বালু উত্তোলন ॥ ড্রেজার মেশিন জব্দ

সংবাদদাতা ॥ বানিয়াচংয়ে আওয়ামীলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রভাবশালী একটি বালুখেকো চক্র বছরের পর বছর বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী জলাশয়ে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রয় করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অভিযোগ পেয়ে মাঝেমধ্যে মেশিন জব্দ করলেও ওই চক্রটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নেয়ায় অবৈধ উপায়ে বালু উত্তোলন ও বিক্রয় অব্যাহত রেখেছে। এলাকাবাসী বালুখেকো চক্রকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থার দাবীতে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদরের যাত্রাপাশা গ্রামের আব্দুল মালেক’র ছেলে নজরুল ইসলাম, সাগর দিঘীর পূর্বপাড় গ্রামের আলী হায়দার ওরফে পোস্ট মাস্টারের ছেলে গাজীউর রহমান শাহীন, ঢালি মহল্লা গ্রামের আব্দুর রহিম’র ছেলে ৩নং ইউপি’র ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আব্দুল জলিল, ঠাকুরাইন দিঘীর পশ্চিমপাড় গ্রামের নেজান উদ্দিনের ছেলে আব্দুন নুর, পাড়াগাও গ্রামের নেছাই উল্লার ছেলে আব্দুল খালিক মিয়া ও ঠাকুরাইন দিঘীর পশ্চিমপাড় গ্রামের আমীর হোসেনের ছেলে ছালে রহমান প্রতিবছর বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী জলাশয়ে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রয় করে আসছে। সম্প্রতি হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এড. আব্দুল মজিদ খান ঠাকুরাইন দিঘীর পশ্চিমপাড়ের রাস্তার জন্য ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেন। ওই রাস্তায় মাটি ভরাটের কথা বলে গত একমাস পূর্বে ঠাকুরাইন দিঘী নামক সরকারী জলাশয়ে ওই বালুখেকো চক্র দু’টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে রাস্তায় মাটি ভরাট করে। মাত্র এক সপ্তাহে রাস্তা ভরাট করা সম্ভব হলেও বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখে বিভিন্ন লোকজনের পুকুর ভরাট করে ভিটা নির্মাণসহ বাড়ী-ঘরে বালু সরবরাহ করে। এছাড়া ট্রলিযোগে দুরদুরান্তে বালু সাপ্লাই করা হয়। এলাকাবাসী আরও জানান, বালুখেকো চক্রটি ঠাকুরাইন দিঘীর পাশাপাশি ছিলাপাঞ্জা এলাকায় আরেকটি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে সমানতালে বালু উত্তোলন করছে। এলাকাবাসীর কাছ থেকে এসব তথ্য পেয়ে গতকাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুন খন্দকারকে অবগত করলে তিনি ৫/৬নং ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশীলদার মুজিবুর রহমানকে পাঠিয়ে ঠাকুরাইন দিঘীর ড্রেজার মেশিনটি জব্দ করিয়ে নিয়ে আসেন। এ ব্যাপারে তহশীলদার মুজিবুর রহমান বলেন, ছিলাপাঞ্জা এলাকার মেশিনটি দিয়ে বেসরকারী জায়গা থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। কিন্তু যেহেতু ড্রেজার মেশিন দিয়ে সরকারী এবং বেসরকারী কোন জায়গা থেকে বালু উত্তোলনের ব্যাপারে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সেহেতু বালু উত্তোলন অব্যাহত রাখলে ওই মেশিনও জব্দ করে নিয়ে আসার নির্দেশ ইউএনও এবং এসিল্যান্ড স্যার আমাকে দিয়েছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর