,

শায়েস্তাগঞ্জে ৫ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

জুয়েল চৌধুরী ॥ শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনের অবৈধ স্থাপনায় দ্বিতীয় দিনেও উচ্ছেদ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তিনটি এক্সকেভর দিয়ে ৫শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে রেল মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আবারও এ উচ্ছেদ পরিচালনা করা হবে বলে জানা গেছে। অনেক পরিত্যক্ত জায়গা দখল করে লীজ নিয়েছে রেলওয়ে হতে। নানা সময়ে দখলদারদের রেলওয়ের ভূমি ছাড়তে লাল ক্রস, নোটিশ ও মাইকিং করা হয়। কিন্তু কেউ নিজেদের অবস্থান থেকে সরে জায়নি অনেকেই। আবার কেউ কেউ নিজ ইচ্ছায় স্থাপন ভেঙ্গে ফেলে। গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত রেলওয়ে জংশনের ঐতিহ্যবাহী দাউদনগর পরগনার জমিদারদের দেওয়া রেলওয়ে ভূমিতে ঐতিহ্যবাহী দাউদনগর বাজার, বাল্লা রেলগেইট, রেলগেইট, মুক্তিযোদ্ধা হোটেল, রেলওয়ে গোদাম রোড, রেলওয়ে হাসপাতাল, রেলওয়ে নিজগাঁও দিঘীর পাড় এলাকা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ২ দিনে ৫ শতাধিক লীজকৃত চুনুপুটির দোকান, বস্তি উচ্ছেদ করে রেলওয়ে বিভাগ। উচ্ছেদ করার পাশাপাশি লীজ নেওয়া ও খাজনা নেওয়াকৃত অর্ধ শতাধিক দোকান উচ্ছেদ করে চুনুপুটিদের। কিন্তু রাগববোয়ালদের উচ্ছেদ করা হয়নি, এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সময়ের অভাবে টলির সড়ক হতে থানা রোড পর্যন্ত অনেক দোকান ও বাসা লীজকৃত পিছনে স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়নি। শুধু অসহায় লোকজনের বস্তি ও দোকান উচ্ছেদ করা হয়। রেলবিভাগ, জেলা প্রশাসন, পল্লী বিদ্যুত কর্মচারী, ফায়ার সার্ভিস, থানা পুলিশ প্রশাসন, র‌্যাব ৯ ও রেলওয়ে পুলিশ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে। এতে নেতৃত্ব দেয় রেলওয়ে বিভাগীয় ভূসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাসুদ রানা। এ উচ্ছেদ অভিযানের সময় এক্সেভেটর যন্ত্রের সাহায্যে স্থাপনা গুলো ভেঙ্গে ফেলা হয়। আবার অনেক লাইসেন্সকৃত দোকানদার নিজেদের উদ্যেগে স্থাপনা সরিয়ে নিতে দেখা গেছে। এ উচ্ছেদ অভিযান দেখতে হাজারো মানুষ ভীড় করেন। শায়েস্তাগঞ্জ শহরের প্রবীন ব্যবসায়ী বলেন, লীজকৃত জায়গা অনেক দোকানদার বা বস্তি দখলদারদের কখনো ভাবেনি এভাবে হঠাৎ তাদের উচ্ছেদ করা হবে। এ কারণে ২ দিনে ৪ শতাধিক চুনুপুটির দোকান ও বস্তি উচ্ছেদ করা হয়। আবার কেউ রেলের জায়গায় পাকা ঘর ১-৩ তলা ও দোকান স্থাপনা নির্মাণ করে বসবাস করলেও এদের উচ্ছেদ করেনি। ক্ষতি সাধন হয়েছে চুনুপুটির দোকান মালিক ও বস্তির অসহায় লোকজন। রেলওয়ে বিভাগীয় ভূ কর্মকর্তা মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে ভূমিতে গড়ে উঠা ১৭ শত স্থাপনার তালিকা তৈরি করেছেন। এরমধ্যে ২ দিনে ৪ শতাধিক দোকান ও বস্তি উচ্ছেদ করা হয়। পর্যায়ক্রমে সবকয়টি উচ্ছেদ করা হবে। পুরো উচ্ছেদ অভিযান শেষ হলে প্রায় ৫শত কোটি টাকার ভূমি উদ্ধার করা যাবে বলে মনে করেছেন এই কর্মকর্তা। যে সকল স্থানে উচ্ছেদ করা হয়নি ২ মাস এর ভিতরে স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলেছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর