,

নবীগঞ্জে প্রতারণার শিকার হয়ে সর্বস্ব খুয়াচ্ছে সাধারণ মানুষ

সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জের এক প্রতারক ও তার সহযোগীদের প্রতারণার শিকার হয়ে সর্বস্ব খুয়াচ্ছে সাধারণ মানুষ। এই প্রতারক দেশের বিভিন্ন স্থানে মুরিদ করার নামে এবং মোবাইলে জি¦নের বাদশা সেজে মানুষের মগজ ধোলাই করে ও সিলেটের হযরত শাহজালাল (রাঃ) বাবাকে দেখিয়ে দেয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই প্রতারক চক্রটির বিরুদ্ধে। এমনকি বিভিন্ন নারীদেরকে ফাঁদে ফেলে তাদের জীবন ধ্বংসের দিকে ধাবিত করছে। জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের পুত্র আমিনুল ইসলাম ওরফে জনি (শাহ) একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ) মাজার জিয়ারত করতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লোকজনকে বিভিন্ন ফাঁদে ফেলে থাকে। সাধারণ মানুষকে শাহজালাল বাবার সাথে দেখা করানো কথা বলে নিয়ে যায় সিলেট ইসলামপুর আভঙ্গি শাহ বাবার পাহাড়ে। সেখানে লোকজনকে নিয়ে আধ্যাতিক কেরামতি দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা-পয়সা। এমনকি শাহজালাল বাবাকে দেখানোর কথা বলে বিভিন্ন লোকদের কাছ থেকে মাসিক একটি ভাতা নেয়, যার পরিমান প্রায় ২৫ হাজার থেকে প্রায় ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। প্রতারক চক্রের মুল হোতা আমিনুল ইসলাম জনি শাহ’র অন্যান্য সহযোগীরা হলো সামাদ শাহ, শামীম শাহ, রফিক শাহ, অলি শাহ, লিটন শাহ, সম্ম্রাট শাহ এবং আড়ালে নাম না জানা আরো অনেকেই এই প্রতারণা চক্রের সাথে জড়িত রয়েছে বলে জানা যায়। জনি শাহ এবং সামাদ শাহ লোকদেরকে বলে আল্লাহ’র নেয়ামত তোমরা ভোগ করতেছ কিন্তু আল্লাহকে তোমরা কিছুই দিতেছ না। মাটির উপর দিয়ে হাটতেছ, আলো বাতাস ভোগ করতেছ সেই হিসেবে মাসিক ভাতা দিতে হবে। ভাতা না দিলে তোমাদের উপর থেকে বিপদ যাবে না। এ ধরণের প্রতারণা করে জনি শাহ সিলেট ইসলামপুরে তিন তলা লাক্সারি একটি বিল্ডিং নির্মাণ করেছে। মায়মনসিংহের সম্ভুগঞ্জে ৩০ শতাংশ জায়গা ক্রয় করে এবং সুনামগঞ্জে তার নামে বেনামে প্রচুর জায়গা রয়েছে। কিন্তু জনি শাহ’র ইনকাম করার কোন সোর্স নেই। সে একজন মুর্খ লোক। কিন্তু সে বিপুল পরিমাণ অর্থ বৈভবের মালিক হয়েছে কিভাবে এটা জনমনে প্রশ্ন জাগে। ইতোমধ্যে জনি দেশের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক বিয়ে করেছে এবং তাদের কাছ থেকে ফায়দা হাসিল করে অনেককেই তাড়িয়ে দিয়েছে। তার বিয়ে করা স্ত্রী থানায় ইতোমধ্যে মামলাও দায়ের করেছে। জনি শাহ একেক সময় একেক ছদ্মবেশ ধরে। কখনো দাড়ি কখনো লম্বা চুল, কখনো কিন সেভ করে থাকে। তার ছদ্মবেশই মুল পুঞ্জি। এদিকে তার সহযোগী প্রতারকরা বেশ কয়েকবার বিভিন্ন থানায় গ্রেফতারও হয়েছে। জনি শাহ’র বিরুদ্ধেও বিভিন্ন গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে। ভূক্তভোগী অনেকেই প্রশাসনের কাছে জোরালো দাবি জানিয়েছেন এই প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আরো অনেক মানুষের জীবন ধ্বংস হবে। তাই তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছেন ভূক্তভোগীরা।


     এই বিভাগের আরো খবর