,

রেল দুর্ঘটনায় আহত বানিয়াচংয়ের সোহেল-নাজমাদের মানবেতর জীবন

সংবাদদাতা ॥ কসবায় রেল দুর্ঘটনায় আহত হওয়া বানিয়াচংয়ের সোহেল ও তার পরিবারের চিকিৎসা অর্থের অভাবে আটকে আছে। চিকিৎসা করাতে সহায় সম্বল সব কিছু হারিয়ে এখন নিঃস্ব অবস্থায় রয়েছে এই পরিবারটি। অন্যদিকে এই দুর্ঘটনায় সোহেলের একমাত্র মেয়ে আদিবা আক্তার সোহার মৃত্যু হয়। তার এই মৃত্যুতে সরকার ঘোষিত এক লক্ষ টাকা আজ পর্যন্ত হাতে আসেনি বলে জানিয়েছেন আহত সোহেল। তবে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে আহত পরিবারকে ২৫হাজার টাকা ও বানিয়াচং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে
১০হাজার প্রদান করা হয় তাদেরকে। ঘটনার পরপরই রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের প্রত্যেক পরিবারকে ১লাখ টাকা করে দেয়ার ঘোষণা প্রদান করেছিলেন। মন্ত্রীর এই ঘোষণা আজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। গতকাল রবিবার বিকেলে এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে দুর্ঘটনায় আহত সোহেল জানান, খুব কষ্ট করে আমাদের চলতে হচ্ছে। প্রথম দিক দিয়ে আমাদের চিকিৎসা পঙ্গু হাসপাতালে হলেও পরবর্তীতে ঢাকার সিএমএইচ-এ আমার চিকিৎসা হয়। আর আমার স্ত্রী, ছেলে, শ্বাশুড়ির চিকিৎসা চলে পঙ্গু হাসপাতালেই। সিএমএইচ থেকে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করিয়ে বাড়িতে আসলে পায়ে রড থাকার কারণে কয়েকদিন পরপরই আবার সিএমএইচ এ যেতে হয়। কিন্ত এখন এই অবস্থায় হাসপাতালে যাওয়ার মতো কোনো টাকা পয়সা আমার কাছে নেই। এমন এক পরিস্থিতে আছি আহত ৪জনের চিকিৎসা করানো সামর্থ আমার আর নেই। অন্যদিকে আমার স্ত্রীর পায়েও অপারেশন করাতে হবে। তার আরো দুইটা অপারেশন দরকার। এসব চিকিৎসা করাতে এতো টাকা পয়সা কই পাই। আমার মেয়ের মৃত্যুর পরে সরকারের ঘোষণাকৃত টাকাটাও আজ পর্যন্ত পেলাম না। সেটাও পাবো কিনা সন্দেহ। অন্যদের দেয়া টাকা আর আত্মীয়য়স্বজনরা আমাদের কিছু সাহায্য সহযোগীতায় চলছে চিকিৎসা। কিছুদিন প্রাইভেট ক্লিনিকেও চিকিৎসা করিয়েছি। কিন্তু এইভাবে আর কতো। রেল দুর্ঘটনা আহত ছেলে নাফিসের হাত ও বুকের অবস্থা আগের মতোই রয়েছে। তার হাতে ও বুকে চিকিৎসা প্রয়োজন।


     এই বিভাগের আরো খবর