,

দিগন্ত বাসের চালকসহ যুবতী আটকহবিগঞ্জে আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসা জমজমাট

জুয়েল চৌধুরী ॥ আবারো হবিগঞ্জ ও শায়েস্তাগঞ্জ আবাসিক হোটেলগুলোতে দেহ ব্যবসা চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। আর এসব ব্যবসায় যোগ দিচ্ছে কলেজ ও উন্মক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীসহ প্রবাসির স্ত্রীরা। আর এসব ব্যবসা করে হোটেল ম্যানেজার ও যুবতীরা লাভবান হচ্ছে। তাদের এ অসামাজিক কাজের সার্বিক সহযোগিতা করছে কতিপয় নেতা-পাতি নেতারা। গত বুধবার দিবাগত গভীররাতে পাইকপাড়া-রতনপুর এলাকায় একটি সিএনজি থেকে দিগন্ত বাসের চালক সুমন মিয়া (২৫) কে নাজমা আক্তার সাথী নামে এক যুবতীসহ আটক করেছে পুলিশ। দৃত সুমন চুনারুঘাট উপজেলার এনাতাবাদ গ্রামের আকবর আলীর পুত্র। সাথী মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভৈরব বাজার গ্রামের মৃত সোহেল মিয়ার স্ত্রী। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, শায়েস্তাগঞ্জ রেল স্টেশন এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে তারা সিএনজি যোগে হবিগঞ্জ আসছিল। তাদের কথাবার্তায় পুলিশের সন্দেহ হলে এ.এস.আই জাহাঙ্গীর আলম তাদেরকে আটক করে সদর থানায় নিয়ে আসেন। সকালে থানা থেকে তাদের ছাড়িয়ে নিতে কিছু নেতা-পাতি নেতারা দৌড়ঝাপ শুরু করে। এমনকি সাংবাদিকদের ছবি তোলতে বাঁধা দেয়া হয়। বিষয়টি বেগতিক দেখে সকালেই পুলিশ তাদেরকে কোর্টের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে। অনুসন্ধানে জানা যায়, সম্প্রতি পুলিশের অভিযানে আবাসিক হোটেলগুলোতে অসামাজিক কার্যকলাপ কিছু কমলেও আবার এ ব্যবসা শুরু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, হবিগঞ্জ শহরের পুরাতন পৌরসভা সিনেমা হল, চৌধুরীবাজার, ডাকঘর, বাণিজ্যিক এলাকা, কালীবাড়ি রোড, কোর্ট স্টেশন রোড ও শায়েস্তাগঞ্জ স্টেশন, দাউদনগরসহ বিভিন্ন এলাকার আবাসিক হোটেলগুলোতে অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে। দিনের বেলা ছাত্রীরা বোরকা ও নেকাপ পড়ে আসলেও অনেকে তাদের আপনজনকে চিনতে পারেন না।


     এই বিভাগের আরো খবর