,

লাখাইয়ে নিশ্চিত করা যাচ্ছে না সামাজিক দুরত্ব, হাটে-বাজারে মানুষের ভীড়

সূর্য্য রায় : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারিভাবে আইন মেনে চলার জন্য কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জনসাধারণের অজ্ঞতা বা প্রশাসনের উদাসীনতা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে এবং ডেকে আনছে অপরিনামদর্শী মৃত্যু।
আমাদের বিবেক জাগ্রত হবে কবে ? আবালবৃদ্ধবনিতা, শিক্ষিত – অশিক্ষিত সবই যেনো একই ক্ষুরে মাথা মুড়ানো । কার ভ্রুক্ষেপ নেই এ যেন কার গোয়ালে কে দেয় ধুনো গোছের। আইনের ফাঁক ফোকর গলে ঢাকা থেকে লকডাউন থাকা সত্ত্বেও নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরছে মানুষ।স্হানীয় টমটম, সিএনজি, রিকশায় নির্দ্বিধায় চলাচল করছে মানুষ। প্রশাসনিকভাবে বন্ধ করতে কোনো চাপ নেই থাকলেও পরিলক্ষিত হয়নি বা জোরালো নয়।
লাখাই উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের চিত্র একই রকম।বুল্লা ইউনিয়নের বাসিন্দা সাংবাদিক সুমন আহমেদ বিজয় আক্ষেপ করে ছবি পোস্ট করে লিখেন বুল্লা ভিতর বাজারে বায়েজীদ ( র) মাজার সংলগ্ন এলাকায় লকডাউন অমান্য করে চলে বদল মিয়ার চা স্টলে পর্দার আড়ালে চা বিক্রির ধুম। প্রতিবাদ করতে গেলেই বা বুঝাতে গেলেই ঘটে বিবাদ। লাখাই উপজেলার ১ নং ইউনিয়নের বাজারে ও দেখা যায় জনসমাগম। বস্তুত হবিগঞ্জ জেলায় ১১ জন বা লাখাইয়ে ৩ জন করোনা আক্রান্তের খবরে প্রভাব পরেনি জনজীবনে যা রাস্তাঘাটে বা বাজারে অসচেতনভাবে চলাফেরা করা জনগণের অসংলগ্ন কথাবার্তায় প্রকাশ পায়। তাই জনসাধারণের জানমালের চিন্তা করে প্রশাসনিকভাবে কঠোর নজরদারি রাখা হোক এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে বা অবাধ মেলামেশা বন্ধ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদারের দাবি সচেতন মহলের।


     এই বিভাগের আরো খবর