,

চুনারুঘাটে করোনা দূর্যোগকালীন সময়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে- দ্বিতীয় দিনেও কৃষকের ধান খাটলেন কৃষকলীগ নেতা মুজিবুর রহমান

এম এস জিলানী আখনজী : করোনাভাইরাসে কারণে বিপাকে পড়েছে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার অসহায় কৃষকরা। দেশের মানুষ যখন ঘর বন্দী, ঠিক তখনইশুরু হয়েছে বোরো ধান কাটার মৌসুম। অর্থ ও শ্রমিক সংকটের কারনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এখানকার অনেক কৃষক। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যে যার স্থান থেকে করোনা ভাইরাসের কারণে অসহায়, মধ্যবিত্ত ও শ্রমজীবী মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নিদর্শনায়, বাংলাদেশ কৃষকলীগের সভাপতি সমীর চন্দ্র কৃষকলীগের সর্বস্থরের সকল নেতা-কর্মীকে কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নির্দেশ দেন। নির্দেশনা মতে হবিগঞ্জ জেলা কৃষকলীগের সভাপতি আলহাজ্ব হুুমায়ুন কবির রেজা ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোক্তার হোসেন বেনুর নির্দেশে, চুনারুঘাট উপজেলা কৃষকলীগের নেতা- কর্মীরা কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য, স্বেচ্ছাশ্রমে কৃষকলীগের এক ঝাঁক নেতা-কর্মীদের নিয়ে অসহায় কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে জমির ধান খেটে দিচ্ছেন। গতকাল (২৪ এপ্রিল) শুক্রবার চুনারুঘাট উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি মুজিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জামাল আহমেদ এর নেতৃত্বে- কৃষকলীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে উপজেলার ৪নং পাইকপাড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের অসহায় কৃষক মর্তুজ আলীর পাশে এসে দাঁড়িয়ে, মাঠ থেকে প্রায় ২ বিঘা জমির ধান কেটে কৃষকের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন। ধান খাটায় অংশগ্রহণ করেন উপেজলা কৃষকলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম সাধরণ সম্পাদক সুমন আহমদ, পৌরসভা সাধারণ সম্পাদক রহমত তালুকদারসহ উপজেলা কৃষকলীগের সকল নেতাকর্মীরা। তারা সেচ্ছায় ধান খেটে মাথায় করে কৃষকের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেন। কৃষক মর্তুজ আলী ও হোসেন আলী খুশি হয়ে বলেন, দেশে করোনাভাইরাসের কারণে কোন প্রকার শ্রমিক ও লোকজন না থাকায় আমরা বিপাকে পড়েছিলাম। কিভাবে ধান কাটবো বা বাড়ি নিবো ও কোথায় হতে অর্থ পাবো। কিন্তু স্বেচ্ছাশ্রমে কৃষকলীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের জমির ধান কেটে দেওয়ায় আমরা খুবই খুশি এবং আমাদের অনেক উপকার হয়েছে। যা কোন দিনই ভুলার মত না। তাই আমরা চুনারুঘাট উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সকল নেতা-কর্মীদের জানাই ধন্যবাদ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান বলেন- একদিকে করোনা ভাইরাসের কারনে শ্রমিক সল্পতা আর অন্যদিকে বৈশাখের মাস, যে কোন সময় প্রবল ঝড়-বৃষ্টির ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা বেশি। এ অবস্থায় পাকা ধান ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন উপজেলার অনেক কৃষক। তাই শ্রমিক সংকটে পাকা ধান কাটতে কৃষকের অসুবিধার কথা জেনে আমিসহ কৃষকলীগ নেতা-কর্মীরা ওই কৃষকদের প্রায় ৩ থেকে ৪ বিঘা জমির ধান কেটে দেই। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশে ও হবিগঞ্জ জেলা কৃষকলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে আজ দ্বিতীয় দিনও উপজেলা ও ইউনিয়ন কৃষকলীগের উদ্যোগে কৃষকের ধান খেটে বাড়ীতে পৌঁছে দিয়েছি। তিনি আরোও বলেন, এই দুর্যোগময় সময়ে কৃষকদের সহযোগিতায় সকলকেই এগিয়ে আসা প্রয়োজন। উপজেলা কৃষকলীগ যে কোনো সংকটময় সময়ে সাধারণ মানুষের পাশে থাকবে। ফেইসবুক লাইভে বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্য হলো, বাঁচলে কৃষক বাঁচবে দেশ শেখ হাসিনার নির্দেশ এ স্লোগানকে সামনে রেখে আমাদের এ কার্যক্রম চলছে এবং চলবে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়ন করার জন্য আমাদের এ কার্যক্রম অব্যহত থাকবে। তিনি এছাড়াও বলেন, প্রতিদিনই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের অসহায় কৃষকদের জমি থেকে ধান খেটে বাড়ীতে পৌঁছে দিবেন উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কৃষকলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্যোগে। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) চুনারুঘাটে কৃষকলীগের উদ্যোগে উপজেলার চন্দনা গ্রামের অসহায় কৃষক হোসেন আলির প্রায় ২ বিঘা জমির ধান কেটে কৃষকের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর