,

এমপি আবু জাহির এর মহতী উদ্যোগ

স্টাফ রিপোর্টার : উন্নত দেশগুলোতে মৃত্যুর মিছিল। করোনার থাবায় বাংলাদেশেও বাড়ছে আক্রান্ত-মৃত্যুর সংখ্যা। চলছে লকডাউন। যার প্রভাবে হিমশিম খাচ্ছে অস্বচ্ছল মানুষ। তাদের জন্য সরকার চালু করেছে বিশেষভাবে খোলা বাজারে চাল বিক্রির (ওএমএস) ব্যবস্থা। তবে এই সময়ে ১০ টাকা কেজি দরে চাল গ্রহণেও সামর্থ নেই অনেকের। অপারগ অসংখ্য কর্মহীন শ্রমজীবী।
এ অবস্থায় হবিগঞ্জ জেলা শহরে গ্রহণ করা হয়েছে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। বিশেষ ওএমএস কার্ডধারি সাড়ে ৯ হাজার মানুষকে দেয়া হচ্ছে বিনামূল্যে সরকারের ১০ টাকা কেজির চাল। গতকাল ৪মে (রবিবার) জেলা শহরের ৫টি পয়েন্টে বিশেষ কার্ডদারীদের পক্ষে ডিলারের হাতে নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে চালের টাকা তুলে দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি। এই সহায়তা চলবে পুরো রমজান মাস জুড়েই।
জানা গেছে, হবিগঞ্জ পৌরসভায় ৯ হাজার ৬০০ জন বিশেষ ওএমএস কার্ডদারী রয়েছেন। যারা এক মাসে ১০ টাকা কেজি দরে ২ মেয়াদে পাচ্ছেন ২০ কেজি চাল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে অনেকেই কর্মহীন থাকায় এই অল্প টাকাও নেই অনেকের হাতে। জানতে পেরে তাদের পাশে দাঁড়িছেন এই জনপ্রতিনিধি।
জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ শাহ আলম জানিয়েছেন, গতকাল ৪মে (রবিবার) ২ হাজার বিশেষ ওএমএস কার্ডধারীর পক্ষে নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ২ লাখ টাকা ডিলারদেরকে দিয়েছেন এমপি আবু জাহির। আগামী মঙ্গলবার আরো ২ হাজার লোকের টাকা পরিশোধ করবেন তিনি। পরবর্তীতে জেলা আওয়ামী লীগ এবং হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরদের মাধ্যমে দেয়া হবে বাকী সুবিধাভোগীদের টাকা।

চাল নিতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী জানান, তার স্বামী থাকলেও অসুস্থ অবস্থায় ঘরে। রিক্সা চালক ছেলেটিও বেকার। ১০ টাকা কেজি দরে চাল কিনতেও তাদের সামর্থ ছিল না। এই সুবিধা পেয়ে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত।
অটোরিক্সা চালক এনামুল হাসান বলেন, অনেকেই সহায়তা দেবেন বলে আশ^স্থ্য করলেও দেননি। অবশেষে একটি ওএমএস কার্ড পেলেও ঘরে টাকা ছিল না। এখন বিনামূল্যে চাল পেয়ে স্ত্রী ও ছেলে মেয়েদের ভাতের ব্যবস্থা হয়েছে।

এ ব্যাপারে এমপি আবু জাহির বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে হবিগঞ্জ পৌরসভায় বিশেষ ওএমএস কার্ডধারী ২ হাজার অস্বচ্ছল লোকের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ২ লাখ টাকা ডিলারদের দিয়েছি। ফলে আজ ২ হাজার মানুষ বিনামূল্যে পেলেন ১০ কেজি করে চাল। আগামী মঙ্গলবার একইভাবে আরো ২ হাজার মানুষের জন্য পুনরায় ২ লাখ টাকা পরিশোধ করবো। পরবর্তী আগামী বৃহস্পতিবারও অন্য ২ হাজার মানুষ জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে এই সুবিধা পাবে। পবিত্র রমজান উপলক্ষে আমার ব্যক্তিগত এবং জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে এই সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। টাকা হস্তান্তরের সময় হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোঃ মিজানুর রহমান, জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ শাহ আলম, জেলা যুবলীগ সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম, হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটু, আওয়ামী লীগ নেতা নূর উদ্দিন চৌধুরী বুলবুলসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।


     এই বিভাগের আরো খবর