,

প্রতিকী ছবি করোনাভাইরাস (কোভিড-19)

১২ মে থেকে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা পরীক্ষা করা যাবে

সময় ডেস্ক : নমুনা পরীক্ষা করার পর করোনা শনাক্তকরণের জন্য ফলাফল পেতে বিলম্ব হওয়ায় উদ্বিগ্ন হাওরাঞ্চলের ডাক্তার সহসংশ্লিষ্ট সকলেই। তবে আশার সংবাদ হচ্ছে আগামী ১২ মে থেকে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষাকরণের কার্যক্রম শুরু হবে।  শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. শামছুল হক গতকাল ৪মে (সোমবার) সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছেন। সুনামগঞ্জসহ হাওরাঞ্চল থেকে করোনা যাচাইয়ের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে ৩-৪ দিন পার হবার পরও ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় এই সময়ের করোনা যোদ্ধা ডাক্তারসহ অনেকের মধ্যেই হতাশা রয়েছে। সুনামগঞ্জের একটি হাসপাতালের একজন চিকিৎসক (পরিচয় প্রধান করতে চাননি) জানান, সিলেট বিভাগের চার জেলা ও ৩৩ উপজেলা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে। তাতে জট তৈরি হচ্ছে, বাধ্য হয়ে নমুনা পাঠাতে হচ্ছে ঢাকায়। এই অবস্থায় নমুনা যাচাইয়ের ফলাফল জানতে বিলম্ব হচ্ছে। একজন চিকিৎসকের নমুনা পাঠিয়ে ফলাফল জানতেও ৪-৫ দিন লাগছে। এই অবস্থায় উদ্বিগ্ন অনেকেই। এছাড়া কিট সংকটের কথাও জানালেন এই চিকিৎসক। সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. শামছুদ্দিন বললেন, পুরো বিভাগ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানোয় ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে চাপ পড়ে যায়। এই অবস্থায় আরও পিসিআর ল্যাব চালু হলে ভাল হয়। বিশেষ করে শাহ্জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাব চালু হলে এই অঞ্চল অর্থাৎ হাওরাঞ্চলের মানুষের উপকার হয়।

সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় জানান, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে প্রতি শ্লটে ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। প্রতিদিন দুই শ্লটে ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ফলাফল জানানো হচ্ছে।

তিনি জানান, প্রতিদিন নমুনা পাওয়া যাচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ জনের। সক্রমণ বাড়লে ভবিষ্যতে আরো বেশি নমুনা পরীক্ষার জন্য আসতে পারে। এজন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ল্যাবে ল্যাবরেটরি টেকনেশিয়ানসহ প্রয়োজনীয় জনবল বাড়ানো প্রয়োজন। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় ও সিলেটের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়েও পিসিআর ল্যাব হলে ভালো হয়।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এণ্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. শামছুল হক প্রধান জানান, করোনা যাচাইয়ের জন্য নিরাপদ পরিবেশ রাখতে হবে। আলাদা আলাদা কক্ষ তৈরি করতে হবে। জাতীয় স্বার্থে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাব করোনা পরীক্ষাকরণের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হবে। ১০ অথবা ১২ মে থেকে এখানে নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হবে। সংশ্লিষ্ট প্রফেসররা ২১ জনের একটি দল এখানে কাজ করবেন। প্রথম দিকে এখানে কমপক্ষে ১০০ জনের করোনা যাচাই হবে। জনবল পর্যাপ্ত পাওয়া গেলে ২০০ জনের নমুনা পরীক্ষা সম্ভব হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর