,

আসুন করোনা ভাইরাসের অবসর সময়টাকে সর্বোত্তমভাবে কাজে লাগাই

এই মূল্যবান সময়কে আমাদের সর্বোত্তম কাজে লাগানো উচিত। প্রিয় পাঠক! চলুন, কুরআনে কারীম বেশি বেশি পাঠ করি; এই সময়কে আমরা যিকরুল্লাহ (আল্লাহর যিকির)-এ ব্যয় করি; বেশি বেশি করে ইবাদত করি। আল্লাহ তা’আলা বলেন, “আমি জ্বিন ও মানবজাতিকে একমাত্র ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছি।” বর্তমানে বসন্ত ও মহাত্মের মাস, রামাদান মাস। আহ! ইতিমধ্যে রহমতের দশ দিনও চলে গেছে; কিন্তু রহমতের ঝুড়িতে কিছুই বৃদ্ধি করতে পারলাম না। রহমতের দিনগুলো চলে গিয়ে এখন মাগফেরাতের সময়ে আমরা উপনীত। আল্লাহর কাছে নিজের পাপ সমূহ থেকে ক্ষমা চাওয়ার শ্রেষ্ঠ দিনগুলো আমরা অতিবাহিত করছি। প্রতিজ্ঞা করুন! এই সুবর্ণ সময়েই আমরা আমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করিয়ে নিব; পাপাচারের বৃত্তে কেন বন্ধি থাকবো? এই মাগফেরাতের সময় পাপ-পঙ্কিলতা থেকে পবিত্র হওয়ার সময়; অত্মাকে পরিশুদ্ধ করে নেওয়ার শ্রেষ্ঠ সময়; নিজের কৃত অপরাধের জন্য অনুতপ্ত হওয়ার সময়। হে প্রাঠক! আসুন! এই শ্রেষ্ঠ সময়ে আমরা আল্লাহর দিকে রুজু’ হই; তা’আল্লুক মা’আল্লাহ (আল্লাহর সাথে সম্পর্ক) গড়ে তুলার চেষ্টি করি। চলুন! আমরা সেই সোণালী অধ্যায়ে ফিরে আসি; যে অধ্যায়ে রয়েছে আমাদের মুক্তির সনদ। অনেক দূরে, বহু দূরে ছুড়ে ফেলি সেই কালো অধ্যায়কে; যে অধ্যায়ে আমরা নিজেদেরকে স্রষ্টার পাকড়াও-এর জন্য প্রস্তুত করছিলাম। আহ! এখন মহামারী করোনা ভাইরাসের সময়। আমাদের উচিত, এই কঠিন সময়ে ধৈর্যধারণ করা। মানুষ এখন অনেক কষ্টে ভুগছে; অনেকে কষ্টে দিনাতিপাত করছে। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ আমরা হাতছাড়া করছি। গরীব-দুঃখী ভাই বোনেরা এই সময় অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। এই সময় গরীব-দুঃখীদের পাশে দাঁড়াবার সময়; গরীব-দুঃখীদের কষ্ট বুঝার সময়। আর আমরা অধিকাংশ যুবকরাই এই মূল্যবান সময়টা ব্যয় করছি ইন্টারনেটে (বিশেষ করে ফেসবুকে)! বিত্তবানরা খুঁজছি গরীব-দুঃখীদের এড়িয়ে চলার পথ! [আলহামদুলিল্লাহ, অনেক বিত্তবান ভাই/বোনেরা যার যার সাধ্য মতো যথেষ্ট সহায্য-সহযোগিতা করছেন; যা ভুলার নয়]। রিয়াকারীরা (লোক দেখানো) খুঁজছি দান করে ফটো তুলে মিডিয়ায় দিয়ে লোক দেখানোর পথ! অথচ, রিয়া হারাম। আফসোস! মনুষ্যত্ববোধ আজ আমাদের থেকে বিলুপ্ত প্রায়। আমাদের ভূলে গেলে চলবে না যে, দয়াময় খালিক (সৃষ্টিকর্তা) আমাদের আশরাফুল মাখলুকাত (সৃষ্টির সেরা জীব) হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। কবে হবে আমাদের শুভ বুদ্ধির উদয়? পৃথিবীতে যা কিছুই ঘটে না কেন, সবই মহান রবের ইচ্ছায় ঘটে। সব কিছু বুঝা আমাদের সাধ্যের বাহিরে। কারণ, আল্লাহ তা’আলা সবচে’ প্রকৌশলী ও প্রজ্ঞাবান। তাই এহেন পরিস্থিতিতে আমাদের উচিত, বেশি বেশি ইস্তেগফার করা; আমাদের কৃত অপরাধের জন্য লজ্জিত হওয়া ও ক্ষমা প্রার্থনা করা। আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীনের কাছে করোনা ভাইরাস থেকে পরিত্রাণ চাওয়া। কান্না বিজরিত কন্ঠে স্রষ্টার নিকট অনবরত নিবেদন করে যাওয়া। কারণ, কান্না বিজরিত দু’আই পারে আল্লাহ পাকের আ’জাব কমাতে।

লেখক: মাওলানা নাঈম আহমদ (৮ নং ওয়ার্ড) ইউনিয়ন: ১০ নং দেবপাড়া, নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ।


     এই বিভাগের আরো খবর