,

ক্রিকেটে ফেরা ও নিজের পজিসন নিয়ে সাকিবের কিছু কথা

জাবেদ ইকবাল তালুকদার : ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন বাংলার পোস্টার বয় ক্রিকেট বিশ্বের রেকর্ডবুকের নবাব সাকিব আল হাসান। কিন্তু বিশ্বকাপের পরে একটা সিরিজ খেলতেই ফিক্সিংয়ের তথ্য গোপন করায় আইসিসির এক বছরের নিষেধাজ্ঞা পান সাকিব। আগামী অক্টোবরের শেষে তার নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব মনে করেন, যেখান থেকে শেষ করেছিলেন, আবার সেখান থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করাই এখন তার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।

গতকাল ১১মে (সোমবার) ১ জার্মান সংবাদ মাধ্যমের একটা লাইভ প্রোগ্রামে একথা বলেন সাকিব। তার মতে, এই সময়ে তিনি অনুধাবণ করেছেন, অনেক ব্যাপার আছে যেগুলো হালকাভাবে নেওয়ার উপায় নেই। এটাই তার বড় শিক্ষা। তবে এই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আবার পুরোদমে ক্রিকেটে ফেরার ছক করে রেখেছেন তিনি।

সাকিব বলেন, ‘সময়টা কঠিন। কারণ মনের মধ্যে ঘুরপাক খাই, আমি খেলতে পারছি না বা খেলতে পারবো না। এর মধ্যে ভালো ব্যাপার হলো, দ্বিতীয় সন্তান জন্মের সময় স্ত্রীর পাশে থাকতে পেরেছি। প্রথম সন্তানের সময় পারিনি। এছাড়া লকডাউনে যেন হতাশ না হয়ে যায় সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।’

খেলায় ফেরা নিয়ে সাকিব বলেন, ‘প্রথম চিন্তা খেলায় ফেরা। এখনও চার-পাঁচ মাস পরে খেলায় ফিরতে পারবো। তার আগে অন্য কোন পরিকল্পনা নেই। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে যেখানে শেষ করেছিলাম সেখানে ফেরা। নিজের কাছে আমার  প্রত্যাশা ওই জায়গায় ফেরা। আমার আশা, আমি তা পারবো। ওটাই আপাতত চ্যালেঞ্জ।’

বিশ্বকাপের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে মিডল অর্ডার থেকে তিনে ব্যাট করা শুরু করেন সাকিব। ওই সফরে ভালো করেন তিনি। বিশ্বকাপেও ধরে রাখেন একই ফর্ম। সাকিব জানান, তাকে তিনে ব্যাটিং করতে উৎসাহ দেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স, ‘বিশ্বকাপের আগে বিপিএলে ভিলিয়ার্সের সঙ্গে এটা নিয়ে আলাপ হয়। খুবই সাদা-সিদে কথাবার্তা। ভিলিয়ার্স আমাকে বলেন তিনি দলের কথা চিন্তা করে মিডল অর্ডারে ব্যাট করতেন। কিন্তু টপ অর্ডারে ব্যাট করলে আরও দলের জন্য অবদান রাখতে পারতেন। আমিও একসময় ভাবতাম দুই-তিনটা উইকেট পড়ে গেলে দলকে এগিয়ে নেওয়া আমার কাজ। কিন্তু ভিলিয়ার্সের কথা শুনে মনে হলো, টি-২০ ফরম্যাটে তো আমি টপেই ব্যাট করি। ওয়ানডেতেও যদি করি  তবে দলের জন্য বেশি অবদান রাখতে পারবো। আমাদের দলেও ওই জায়গায় বিশেষ কেউ ছিল না। আমি ভাবলাম আমিই চেষ্টা করি।’ সাকিবের মাথায় এখন শুধুই ক্রিকেটে ফেরা। এরবেশি কিছু ভাবছেন না তিনি। তবে সাকিব মনে করেন, ২০১৯ বিশ্বকাপে তাদের আরও সামনে যাওয়ার ভালো সুযোগ ছিল। সবাই সেরাটা খেলতে পারেননি। কিন্তু ২০২৩ বিশ্বকাপ যেহেতু এশিয়ার মাটিতেই তাই কোন দলকেই তাদের ভয় পাওয়ার কারণ নেই। তাদের তাই আগামী বিশ্বকাপে ভালো করার অনেক সুযোগ আছে।


     এই বিভাগের আরো খবর