,

নবীগঞ্জে করোনার ভয় নেই, প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সপিংমল ও দোকানপাটের সার্টার ফেলে ভিতরে পন্য বিক্রি ক্রেতাদের ভীড়

আক্রান্তের হার বৃদ্ধির আশংকায় সাধারন মানুষ

উত্তম কুমার পাল হিমেল : নবীগঞ্জে উপজেলা প্রশাসন ও ব্যবসায়ী সমিতির যৌথসভায় মুদি দোকান ও কাচাবাজার ছাড়া সব ধরনের শপিংমল অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হলেও তা উপেক্ষা করে কিছু ব্যবসায়ী দোকানের সার্টার ফেলে কর্মচারী সামনে দাড় করিয়ে রেখে ত্রেতাদেরকে ভেতরে নিয়ে পন্যসামগ্রী বিক্রি করছে দেদাড়ছে। অনেক দোকানেই ক্রেতাদের ভীড় পরিলক্ষিত হয়েছে। বিশেষ করে ওসমানী রোডের কাপড় সুতা ও ছিটঘর দোকানগুলোতে পুরুষ-মহিলা ক্রেতেদের ভীড় দেখে যেন মনে হচ্ছে করোনা নামক কোন ভাইরাসের কোন ধরনের আক্রান্তের ভয় নেই তাদের মাঝে। মুখে মাস্ক, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা, হ্যান্ড সেনিটারাইজার ব্যবহার, স্বাস্থ্যবিধি পালনের কোন বালাই নেই যেন তাদের মাঝে। অনেক দোকানেই ঘেষাঘষি করে কাপড় ক্রয় করতে দেখা গেছে। আর কোন দোকান বা মার্কেটের সামনে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা তো দুরের কথা দোকানের ভিতর একজন আরেকজনের সাথে ঘেষে যেন কেনাকাটা করছেন।
মানুষের উপছেপড়া ভীড় দেখে মনে হচ্ছে যেন অনেকদিন পর সবাই ছাড়া পেয়েছে। বিষয়টি অনেক সচেতন মানুষের মাঝে নাড়া দিলেও কে শোনে কার কথা ভেবে কেউ মুখ খোলছেন না। জনৈক ব্যবসায়ী জানান, দোকান পাট বন্ধের সিদ্ধান্ত হওয়ার পরও কিছু ব্যবসায়ীরা লুকিয়ে পণ্য বিক্রি করছে আর মানুষের ভীড় জমাচ্ছে। এছাড়া বাজারে আসা বেশিরভাগ মানুষেরই মুখে মাস্ক নেই দেখে বুঝা যাচ্ছে করোনা ভাইরাস চলে গেছে। এ ব্যাপারে তিনি প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেন।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিত কুমার পাল বলেন, নবীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী সমিতিসহ ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠকের সিদ্ধান্ত কেউ অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য ৫ দফায় নবীগঞ্জে এই পর্যন্ত স্বাস্থ্য কর্মী, ব্যাংক কর্মকর্তাসহ মোট ১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নবীগঞ্জে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের হার বেড়ে যাওয়ায় সাধারন মানুষের মাঝে মারাত্মক আতংক দেখা দিয়েছে। নবীগঞ্জ উপজেলা থেকে এ পর্যন্ত ৩৯৬ জনের নমুনা প্রেরন করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৮ জনের পজেটিভ এবং ৩১০ জনের নেগেটিভ ফলাফল এসেছে।


     এই বিভাগের আরো খবর