,

ফাইল ছবিঃ প্রতিবেদক জাবেদ ইকবাল তালুকদার।

নবীগঞ্জে দেখা যেতে পারে করোনার করুন অবস্থা….

জনসাধারনের মাঝে নেই কোন সতর্কতা..

জাবেদ ইকবাল তালুকদার : করোনা আতংকে থমকে গেছে পুরোবিশ্ব। বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা করোনাভাইরাসকে মহামারি হিসেবে ঘোষনা দিয়েছে। এর কোন প্রতিষেধক এখন পর্যন্ত আবিস্কার করতে পারেনি চিকিৎসা বিজ্ঞান। সচেতনতার মাধ্যমে ও নিজ নিজ বাসায় অবস্থানের মাধ্যমে এ মহামারি ভাইরাস মোকাবেলা করা সম্ভব। এ ভাইরাস মোকাবেলা করতে ব্যার্থ হয়েছে যুক্তরাস্ট্র, ইংল্যান্ড, ইতালির মতো উন্নত রাষ্ট্রগুলো। বাংলাদেশে এ ভাইরাস হানা দিলে বাংলাদেশের অবস্থা করুন হবে এ কথা চিন্তা করে দেশে বৃহৎ আকারে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আগেই বাংলাদেশ সরকার দেশে লকডাউন ঘোষনা করেছিল এবং বিশেষ প্রয়োজন ব্যাতিত নিজ ঘর থেকে বের হতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। শুধু নিষেধাজ্ঞাই জারি করেনি সরকার প্রত্যেকের নিজ নিজ ঘরে অবস্থান নিশ্চিত করতে দেশের পুলিশ-প্রশাসনকেও কঠোর হুশিয়ারি প্রধান করেছিল। সারা দেশের ন্যায় আমাদের নবীগঞ্জের পুলিশ-প্রশাসন ও তাদের দায়িত্ব পালনে তৎপর ছিল। কেউ প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। সরকার এবং পুলিশ-প্রশাসন তো তাদের কাজ যথাযথভাবে পালন করেছে। ভেবে দেখুন আমরা কি আমাদের কাজটুকু করেছি? আমাদের তো বেশি কিছু করতে বলা হয়নি শুধু ঘরে থাকতে বলা হয়েছিল।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত টিএইচও নবীগঞ্জ সুত্রে জানা গেছে, ২২ মে (শুক্রবার) নবীগঞ্জে এ পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৪৮৭ জনের। ৩৮৩ জনের নেগেটিভ এসেছে, ৭ জন স্বাস্থ্যকর্মীসহ ২২ জনের পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। সুস্থ হয়েছেন ০৭ জন। সারা উপজেলায় প্রায় পৌনে ৪ লক্ষ জনসংখ্যা কিন্তু এরমধ্যে মাত্র ৪০৫ জনকে পরীক্ষা করা হয়েছে। সারা উপজেলার লোকদের পরীক্ষা করলে যে আক্রান্তের সংখ্যা কয়েক হাজার হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। কিন্তু আমাদের নবীগঞ্জ শহরে মানুষের চলাচলের দিকে লক্ষ করলে মনে হয় করোনা নামে কোন মহামারি আমাদের নবীগঞ্জে নেই। দেখা যায় সবাই ঈদের বাজার করতে আসছেন কিন্তু এই ঈদের বাজারই তাদের জন্য কাল হয়ে দাড়াতে পারে। কেননা কোন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির দেখে যাওয়া পোষাক কারো সংস্পর্ষে এলে সেও করোনায় আক্রান্ত হতে পারে। প্রশাসন তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও লোকসমাগম হ্রাস করতে পারছেন না। নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমাইয়া মোমিন প্রতিদিন প্রশাসনের নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে আসলেও ব্যবসায়ীদের দোখানপাট বন্ধ করা যাচ্ছে না। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ প্রত্যেক মোড়ে মোড়ে টহল দিচ্ছেন। ক্যাপ্টেন সিহাবুজ্জামানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দলও নবীগঞ্জের আইন-শৃংখলাকে গতিশীল রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন।

নবীগঞ্জের লোক সমাগম ও দোকানপাট খোলা নিয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) সুমাইয়া মমিন এ প্রতিবেদককে বলেন : যারা প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে তাদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিত কুমার পাল স্যারের নির্দেশে আমরা ব্যাবস্থা নিচ্ছি, নবীগঞ্জের সর্বত্র প্রতিদিনই ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। নবীগঞ্জ থানার পুলিশ অফিসাররা এবং ক্যাপ্টেন শিহাবুজ্জামানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেনাবাহনীর একটি দল আমাদের অভিযান পরিচালনা করতে সহযোগীতা করে যাচ্ছে।

বেশি জনসমাগমে ভাইরাস দ্রুত ছড়ানোর আসংখ্যা থাকে। নবীগঞ্জের সমাগম হ্রাস করতে না পারলে নবীগঞ্জের করোনা অবস্থাও করুন হবে।

FacebookTwitter


     এই বিভাগের আরো খবর