,

নবীগঞ্জে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি, মাস্ক ছাড়াই বাজারে অবাধে চলছে বেশির ভাগ মানুষ

সলিল বরণ দাশ : করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সরকারি নির্দেশনা থাকলেও নবীগঞ্জে অনেকেই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। একদিকে ঈদের পর থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান না থাকায়, নবীগঞ্জে উপজেলা সদর সহ প্রতিটি বাজারেই মানুষের মাস্ক না পরা সহ সরকারি নির্দেশনা লংঘনের প্রতিযোগিতা চলছে।সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং এর মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হচ্ছে, অটোবাইক ও সিএনজিতে ০৩ জনের বেশী ও অটোরিক্সায় ১ জনের বেশী যাত্রী উঠবে না। কিন্তু এ প্রবণতা ঠেকানো যাচ্ছে না।মাস্ক ছাড়াই অনেকেই চলাচল করছে অবাধে। আবার অনেককেই বিকাল, ৮ টার পর স্বাধীনভাবে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। এমনকি মোটরসাইকেলেও ৩ জন আরোহী নির্বিঘ্নে চলাচল করছে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলা শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, অনেক মানুষের মাঝে এখনো সচেতনতা গড়ে ওঠেনি। তারা হরহামেশাই বাহিরে মাস্ক ছাড়াই চলাফেরা করছে, এমনিক সামাজিক দূরত্বও মানছে না। রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন বাজারে মানুষের সঙ্গে মানুষের শরীর ঠেকিয়ে জিনিসপত্র ক্রয় করছে, কিছুতেই তাদের ভ্রুক্ষেপ নেই। এছাড়া মোটরসাইকেলে চালক ছাড়া অন্য কোন আরোহী না উঠার নির্দেশনা থাকলেও খোদ পুলিশের সামনে দিয়েই অনেককে মাস্ক ছাড়াই মোটরসাইকেল নিয়ে চলাচল করছে। অন্যদিকে বর্তমান পরিস্থিতিতে অটোবাইক ও সিএনজি ০৩ জনের বেশী যাত্রী ওঠার নিয়ম থাকলেও ঠাসাঠাসি করে যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে অটোবাইকগুলো। এছাড়া বাসের চালকসহ তার সহকারিরা মাস্ক ছাড়াই বাস চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া বাসের চালকসহ তার সহকারিরা মাস্ক ছাড়াই বাস চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। পরিপ্রেক্ষিতে সচেতনমহল মনে করছেন, প্রশাসনসহ আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন। তা না হলে বাড়তে পারে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি। এব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম বলেন আমরা উপজেলা প্রশাসন মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করে মানুষকে স্বাস্থ্য বিধি সম্পর্কে সচেতন করছি যাতে কেউ মাস্ক ছাড়া বাহিরে না বের হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর