,

শতভাগ বিদ্যুতের উপজেলায় বিদ্যুৎ-বঞ্চিত কমলাপুরের দেড় শতাধিক পরিবার

সলিল বরণ দাশ : হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার সদরের শহরতলি পৌরসভা
সংগ্লন(৩কিঃমিঃ মধ্যে) করগাও ইউনিয়নের সব আলোক উজ্জল গ্রামের মধ্য অন্ধকারচ্ছন্ন কমলাপুর গ্রাম। এ যেন বাতির নীচে অন্ধকার। সরকারিভাবে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা করা পরও বিদ্যুতের আওতায় আসতে পারেনি উপজেলার পৌরসভার সীমান্তবর্তী করগাঁও ইউনিয়নের অবহেলিত কমলাপুর গ্রাম। এতে এলাকার প্রায় দেড় শতাধিক পরিবারের সহস্রাধিক মানুষ বিদ্যুৎ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। ২০১৯ সালের ১৩ নম্বেভর গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে
নবীগঞ্জকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেন। নবীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ বলছে, কামলাপুর এলাকায় ৬ মাস আগে বিদ্যুৎ নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু গ্রামের ভেতর দিয়ে বিদ্যুতের তার নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে গ্রামের একটি পক্ষের আপত্তির কারণে কাজ আর এগোয়নি। সম্প্রতি করোনা মহামারীর কারণে বিদ্যুতের লাইন স্থাপন কাজ করা যাচ্ছে না,করোনার প্রকোপ কমলে অতি শীঘ্রই কাজ শুরু করবে বলে জানায় পল্লী বিদ্যুৎতায়ন র্বোড। সম্প্রতি সরেজমিন দেখা যায়, নবীগঞ্জ পৌর শহর থেকে প্রায় ৩ কিঃমিঃ দূরে কমলাপুর গ্রামে হত দরিদ্র মানুষের বসবাস। আঁকাবাঁকা পথে আধা পাকা রাস্তা দিয়ে পৌঁছাতে হয় কমলাপুর গ্রামে। কমলাপুর গ্রামে ১৫০টি পরিবারের প্রায় ১০০০ লোকের বাসবাস। তাদের আয়ের প্রধান উৎস কৃষি কাজ ও ঢোল বাদ্য বাজানো। কমলাপুর গ্রামের আশেপাশের সবগুলো গ্রামে ৮-১০ বৎসর আগে বিদ্যুতায়ন হলেও অবহেলিত এই গ্রামের দুই পাড়ার ১৫০টি পরিবারে প্রায় ১০০০ লোকের কুপি বাতির নীচে বসবাস। সেখানে এখনো বিদ্যুতের ছোঁয়া লাগেনি। এ যেন বাতির নীচে অন্ধকার। এমনকি উপজেলা সদর একবারে কাছে থেকেও গ্রামে
পৌঁছানোর রাস্তা বেহাল দশা। গ্রামের মরুব্বী সুধির দেব বলেন, গ্রামের স্কুল-কলেজপড়ুয়া প্রায় ২০০ ছাত্রছাত্রী বেশির ভাগ সময় রাতের আধাঁরে কুপি বাতির নিচে পড়াশুনা করতে হয়। এছাড়া অসহ গরমে ছোট বাচাঁদের নিয়ে নিদারুন কষ্ট ভোগ করতে হয়। তিনি আরও বলেন বিদ্যুৎ ও রাস্তাঘাটের সমস্যার কারণে আমাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। নবীগঞ্জ বাজার থেকে ৩ কিলোমিটার পঞ্চিমে বিদ্যুৎতায়িত সব গ্রামের মধ্যে অন্ধকারচ্ছন্ন কমলাপুর গ্রাম। এ বিষয়ে স্থানীয় ওর্য়াড মেম্বার ফনি ভূষণ দাশ বলেন, কমলাপুর গ্রামে বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনের জন্য প্রায় এক বছর আগে বৈদ্যুতিক খুঁটি এনে রাখা হয়েছে। তবে গ্রামবাসীর এক পক্ষের আপত্তির কারণে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হলেও সামাধান হওয়ার পরও ঠিকাদার না আসায় এখনো সেখানে বিদ্যুৎ বিতরন লাইন স্থাপনের কাজ শেষ করা যায়নি।

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আজিজুর রহমান বলেন ঠিকাদারের সাথে স্থানীয় লোকজনের সমস্যার কারণে যথা সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায়। কমলাপুর গ্রামকে বিদ্যুতের আওতায় আনা যায়নি। শতভাগ বিদ্যুৎতের উপজেলা ব্যপারে বলেন কোন উপজেলা ৯০ ভাগ বিদ্যুৎতের আওতায় আসলে আমরা সেই উপজেলাকে শত ভাগ বিদ্যুৎতের উপজেলা বলতে পারি। হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নবীগঞ্জ আঞ্চলিক অফিসের সহকারী মহা ব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আলিবরদি খান সুজন বলেন কমলাপুর গ্রামকে বিদ্যুতায়নের আওতায় আনতে ১ বৎসর আগে কাজ শুরুহয়েছিল। স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে ঠিকাদারের লোকজনের সমস্যা কারণে বিতরণ লাইনের কাজ শেষ না হওয়ায় আমরা কমলাপুর গ্রামকে এখনো বিদ্যুতায়নের আওতায় আনতে পারেনি।


     এই বিভাগের আরো খবর