,

লন্ডনে অনুর্ধ ১৮ এবং বয়স্কদের ফ্রি ট্র্যাভেল বন্ধ হচ্ছে সরকারে সিদ্ধান্তের সমালোচনায় লন্ডন মেয়র সাদিক খান

লন্ডন প্রতিনিধি : যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে ১৮ বছরের নীচের শিশু কিশোরদের ফ্রি ট্র্যাভেল বাতিলের ঘোষনা দিয়েছে সরকার। একই সাথে ফ্রিডম পাস হোল্ডার
এবং ষাট উর্ধদের ওয়েস্টার কার্ড ব্যবহারকারীদের পিকটাইমে ফ্রি ট্র্র্যাভেলও
বাতিল করা হয়েছে। ফ্রিডম পাস হোল্ডার এবং ষাট উর্ধ ওয়েস্টার কার্ড
ব্যবহার কারীদের পিকটাইমে ফ্রি ট্র্র্যাভেল বাতিলের সিদ্ধান্ত ১৫ জুন থেকে
কার্যকর হয়েছে। অন্যদিকে ১৮ বছরের নীচে শিশু কিশোরদের ফ্রি ট্র্যাভেল
বন্ধের সিদ্ধান্ত কবে থেকে কার্যকর হবে ঘোষনা করা না হলেও ধারনা করা
হচ্ছে সামার হলিডের পর তা কার্যকর হবে। লন্ডন মেয়র সাদিক খান
সরকারের এসিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছেন তরুনদের ফ্রি ট্র্যাভেল
বাতিল হলে স্থানীয় কাউন্সিলগুলোর উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে। লন্ডনের
৩০% শিক্ষার্থী স্কুলে যাতায়াতের জন্য বাস ব্যবহার করেন এবং ফ্রি ট্র্যাভেল
তাদের আইনি অধিকার।
এদিকে টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র জন বিগসও ফ্রি ট্র্যাভেল বন্ধের
সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য সরকারের কাছে অনুরুধ জানিয়েছেন। এক
বিবৃতিতে জনবিগস বলেন এটি টাওয়ার হ্যামলেটসের দরিদ্র্য বাসিন্দাদের
ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করবে। বাসিন্দাদের বিরাট অংশ পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এর
উপর নির্ভরশীল। টাওয়ার হ্যামলেটস মেয়র জন বিগস মনে করেন ,
আয়হীন অথবা নিম্ন আয়ের বাসিন্দাদের এভাবে শাস্তি দেয়া মোটেই সঠিক
কোন কাজ হতে পারে না। তিনি সরকারের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবী
জানান।

কেবিনেট মেম্বার ফর এনভায়রনমেন্ট এন্ড পাবলিক রেলম কাউন্সিলার ডান
টমলিনসন বলেছেন ফ্রি ট্র্যাভেল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত টাওয়ার হ্যামলেটসের
বাসিন্দাদের জীবনে প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে যারা প্রাত্যহিক জীবনের জন্য
পাবলিক ট্রান্সপোর্টের উপর নির্ভরশীল তাদেরকে বেশী প্রভাবিত করবে।
জনগনকে শাস্তি দিয়ে এভাবে কিছু অর্জন করা অন্যায়।
লন্ডন এসেম্বলী মেম্বার উমেশ দেশাই এপ্রসঙ্গে বলেন, টিএফএল এর বেইল
আউটকে অজুহাত হিসাবে ব্যবহার করে লন্ডনারদের ফ্রি ট্র্যাভেল বন্ধ করে
দেয়ার বিষয়টি একেবারেই অগ্রহনযোগ্য। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে,
লন্ডন নগরীর অনেক ৬০ বছরের বেশী বয়সী এখনো কাজ করেন। এদের
অনেকেই আবার কী ওয়ার্কার এবং তাদের পিকটাইমে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট
ব্যবহার করতে হয়। এছাড়া হাজার হাজার পেনশনার দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস
করেন। এটা সরকারের একটি ভ্রান্তচিন্তা ছাড়া আর কিছু হতেপারেনা ।
তিনি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবী জানান।


     এই বিভাগের আরো খবর