,

শায়েস্তাগঞ্জে বাড়ির আঙ্গিনায় ও ছাদে সবজি চাষে সরকারি সহায়তা

সৈয়দ আখলাক উদ্দিন মনসুর : সারাদেশে করোনা ভাইরাস মহামারীর প্রভাব পড়েছে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে। ভাইরাস থেকে নিরাপদে থাকতে হোম কোয়ারেন্টাইনে অলস সময় কাটাচ্ছেন অনেকেই। এ টানা লকডাউনে অনেকেই বাড়ির আঙ্গিনায় বা উঠানে, বাসার ছাদে কৃষি কাজে মনোনিবেশ করেছেন। দেশের এই ক্রান্তিলঙ্গনে ঘাটতি পড়তে পারে শাকসবজি ও কৃষিখাদ্যের। করোনাভাইরাসের এই প্রাদুর্ভাবে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা যেন খাদ্য সংকটে না পড়েন সে জন্য বসতবাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে কৃষি বিভাগ। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় শতাধিক কৃষক এই তালিকার আওতায় রয়েছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অফিস সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে বসতবাড়ির আঙিনায় সবজি চাষ কর্মসূচির আওতায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে কমিটি করে এ তালিকা করা হয়েছে। কিন্তু অনেক অনিয়ম দেখা দিয়েছে জনপ্রতিনিধিরা সঠিক কৃষকের নাম দেওয়া হয়নি বলে অনেক কৃষকরা অভিযোগ করেছেন। এতে কৃষকের নাম, কৃষকের বাবার নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর অথবা মোবাইল ব্যাংকিং নম্বর সংযুক্ত করা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রত্যেক কৃষক স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে বীজ ও চারা পাবেন। এছাড়াও জনপ্রতি জৈব ও অজৈব সার বাবদ ৪৩৫ টাকা, শাক-সবজি রক্ষায় বেড়া তৈরির খরচ বাবদ এক হাজার টাকা ও পরিচর্যা বাবদ ৫০০ টাকাসহ নগদ মোট ১৯৩৫ টাকা পাবেন। এ নগদ অর্থ ব্যাংক হিসাব অথবা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের (বিকাশ ও নগদ) মাধ্যমে হাতে পাবেন কৃষকরা। এই টাকা মাঠ পর্যায়ের কৃষকের হাতে পৌঁছেছে কিনা কিংবা তালিকায় কোনো অনিয়ম হয়েছে কিনা তা সরাসরি কৃষি কর্মকর্তারা তদারকি করে নিশ্চিত হবেন। মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারের এ উদ্যোগের ফলে করোনাভাইরাসের এই মহামারির সময় প্রান্তিক কৃষকদের খাদ্য সংকটে পড়তে হবেনা। একদিকে যেমন কৃষকরা পুষ্টিকর শাক-সবজি উৎপাদন করে নিজেদের চাহিদা পূরণ করতে পারবেন, অন্যদিকে এ মহামারিতে সামান্য শাক-সবজির জন্য হাঁট- বাজারে তাদের যেতে হবে না। এ বিষয়ে সুরাবই গ্রামের কৃষক আতাউর রহমান জানান, করোনা সংকটে এটা সরকারের চমৎকার একটি উদ্যোগ। সরকারী সহায়তা পেলে আমাদের শাক-সবজি কিনে খেতে হবেনা। এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জের কৃষক সুজাত মিয়া বলেন, আমরা বাসার ছাদে বেশকিছুদিন ধরে শাক-সবজি চাষ করে আসছি, এতে করে আমাদের শাক-সবজির চাহিদা অনেকটা মিটে যায়। আর সরকারীভাবে বীজ, সার পেলে আমরা আরো ভাল করে শাক-সবজি চাষ করতে পারব। এ বিষয়ে নুরপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আবুবকর ছিদ্দিকী বলেন, আজকে আমরা নুরপুর ইউনিয়নের ৩২ জনের তালিকা জমা দিয়ে এসেছি। এ বিষয়ে

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুকান্ত ধর জানান, সর্বনিম্ন এক শতক জমিতে কালিকাপুর মডেল অনুসরণ করে বসতবাড়ির আঙিনায় সবজি চাষ কর্মসূচির আওতায় ইউনিয়ন থেকে ৩২ জন করে কৃষক স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে বীজ ও চারা পাবেন।


     এই বিভাগের আরো খবর